চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বরের লোহার গ্রামে । জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের লোহার গ্রামের বাসিন্দা আক্রান্ত স্বামী মণিরুল মন্ডল ও তার স্ত্রী। অপর দিকে ধৃত প্রেমিক সাদ্দাম শেখ মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। গতকাল গভীর রাতে মনিরুলের ঘর থেকে গোঙানির আওয়াজ শুনে তার ভাই দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে।
advertisement
এই সামগ্রিক বিষয়ে স্ত্রী ও তার প্রেমিকের হাতে আক্রান্ত মণিরুল মন্ডলের অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “নখে করে আমার গালে আঁচড় কেটেছে। এরপর একটা বালিশ এবং কোলবালিশ, দুটো বালিশ দিয়ে আমার মুখের ওপর চাপা দেয়। নিজেদের সবটুকু ক্ষমতা দিয়ে চেষ্টা করেছিল আমাকে মারার।”
তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, দুধের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে তাকে খাওয়ানো হয়। যার ফলে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েছিলেন এবং এই ঘটনার
পরেই তার উপর তার স্ত্রী ডলি বিবি ও তার প্রেমিক সাদ্দাম শেখ চড়াও হয়। তার হাত ও পা বেঁধে দিয়ে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয়, এমনটাই অভিযোগ৷ ঘরের ভিতর থেকে মণিরুলের আওয়াজ শুনে তার ভাই ঘরের দরজা ভেঙে ঢোকেন।
আরও পড়ুন: কাটোয়ার তৈরি চন্দ্রযান-৩ হিট গোটা দেশে
এরপরেই দাদাকে এই অবস্থায় দেখে ও খাটের তলা থেকে অভিযুক্ত সাদ্দামকে হাতেনাতে ধরেন তিনি৷ আক্রান্ত মণিরুল মন্ডলকে মন্তেশ্বর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য।
অন্যদিকে ঘটনাস্থল থেকে পালাতে গিয়ে জখম হয় মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা তথা অভিযুক্ত প্রেমিক সাদ্দাম শেখ। তাকেও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।সঙ্গে আসে মণিরুলের স্ত্রী ডলি বিবিও। এরপরেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বচসা থেকে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
যদিও এরপরেই মন্তেশ্বর থানার পুলিশ অভিযুক্ত যুবক সাদ্দাম শেখ-সহ তার পরিবারের লোকজনকে থানায় তুলে নিয়ে যায়। যদিও পরকীয়া সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নেয় ডলি বিবি ও অবিবাহিত সাদ্দাম।ডলি বিবি জানায়,সাদ্দামের সঙ্গে তার ফোনে আলাপ।এরপর তাদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরী হলে সে ওইদিন রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে তার সঙ্গে দেখা করতে যায়।একই কথা স্বীকার করে নেয় সাদ্দামও।যদিও খুনের চেষ্টার কথা অস্বীকার করেছে দুই অভিযুক্তই।