গোমাই গ্রামের এক বাসিন্দা আনন্দ দাস বলেন, “আমাদের যাতায়াত করতে খুব অসুবিধা হয়। আমরা চরম সমস্যায় রয়েছি। সেতু সারাই হলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে। এখন প্রয়োজনে অনেকটা ঘুরে যাতায়াত করতে হয়।”
আরও পড়ুনঃ জলের তলায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র! পৌঁছতে পারছে না রোগী, পরিষেবা সচল রাখতে নতুন ফন্দি পঞ্চায়েতের
এই পরিস্থিতিতে দুই পাড়ের মানুষজনের একাংশ বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল ব্রিজ ব্যবহার করে যাতায়াত করছেন। এই পথ অত্যন্ত বিপজ্জনক। তবুও প্রয়োজনে ঝুঁকি নিতেই হচ্ছে। স্কুলের পড়ুয়াদেরও এই রেলপথ ব্যবহার করতে হচ্ছে বিভিন্ন সময়। অন্যদিকে, অনেকেই প্রয়োজনের তাগিদে বিকল্প ঘুরপথে কয়েক কিলোমিটার পেরিয়ে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছচ্ছেন। কিন্তু সেই পথ দীর্ঘ ও কষ্টসাধ্য। ফলে সমস্যা আরও বাড়ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ফাঁকা সময়ে টিভি, সিরিয়াল নয়! বর্ধমানের গ্রাম্য মহিলারা করছেন এসব কাজ, আসছে গোছা গোছা টাকা
এই সেতু ব্যবহার করে গোমাই গ্রামের মানুষজন প্রায়ই যাতায়াত করতেন নিকটবর্তী স্টেশন, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বাজার ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবার জন্য। আবার অম্বলগ্রাম, বেলুন ও শিবলুন গ্রামের বাসিন্দারাও এই সেতু ব্যবহার করে পৌঁছতেন ব্যাঙ্ক, থানা-সহ বিভিন্ন কাজকর্মে।
বর্তমানে সরাসরি সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এই সব পরিষেবা গ্রহণ করতে সমস্যায় পড়ছেন বহু মানুষ। নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য উজ্জ্বল কুমার দাস বলেন, “এই সেতু তৈরি করার জন্য পঞ্চায়েতের কাছে পর্যাপ্ত টাকা নেই। তবে এই বিষয়ে আমাদের বিধায়ক সাহেবকে জানিয়েছি। উনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বিষয়টা। যাতে এটার ব্যবস্থা হয় উনিও চেষ্টা করছেন।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয়দের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের কাছে বহুবার আবেদন করা হয়েছে। তাঁদের পক্ষ থেকে আশ্বাস মিলেছে, এমনকি সেতুর মাপ নিতেও লোক এসেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে আজও কাজ শুরু হয়নি। আশ্বাস ছাড়া মেলেনি কোনও স্থায়ী সমাধান।
বিভিন্ন স্কুলপড়ুয়া, প্রবীণ নাগরিক, অসুস্থ মানুষ ও কর্মজীবীরা প্রতিদিন এই সেতু না থাকায় সমস্যায় পড়ছেন। স্থানীয়দের দাবি, ঈশানী নদীর উপর একটি স্থায়ী, পাকা সেতু না হলে এই দুর্ভোগ মিটবে না। তাঁরা চাইছেন, অবিলম্বে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে আধুনিক সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিক।