TRENDING:

Purba Bardhaman News: সক্রিয় জেলা প্রশাসন! কাজের গাফিলতি দেখলেই কর্মীদের কপালে জুটছে বকুনি 

Last Updated:

পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে চরম ক্ষুব্ধ হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাঝি। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের রায়না ২ নম্বর ব্লকে রাস্তা পরিদর্শনে যান খোদ জেলাশাসক। সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পূর্ব বর্ধমান: পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে চরম ক্ষুব্ধ হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাঝি। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের রায়না ২ নম্বর ব্লকে রাস্তা পরিদর্শনে যান খোদ জেলাশাসক। সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। তিনি এলাকার বেশ কয়েকটি পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা পরিদর্শন করেন।
advertisement

পাশাপাশি তিনি মীরপুর থেকে রামচন্দ্রপুর কালিতলা পর্যন্ত ১.৭ কিলোমিটার পথশ্রী প্রকল্পে তৈরি নতুন রাস্তা পরিদর্শন করেন। নতুন রাস্তার হাল দেখে রীতিমতো তিনি ক্ষোভ উগড়ে দেন। তিনি বিডিও অনিশা যশ ও দায়িত্বে থাকা বাস্তু কারকে রীতিমত ধমক দেন। যেন জেলাশাসক একদম প্রস্তুতি নিয়েই গিয়েছিলেন শনিবার রাস্তা পরিদর্শনে।

আরও পড়ুন: জমিয়ে কেনাকাটা থেকে খাওয়া-দাওয়া সবই এক ছাদের নীচে! সঙ্গে থাকবে আরও নানা চমক

advertisement

কোদাল দিয়ে পিচ রাস্তা খুঁড়ে জেলা শাসককে দেখানো হয় রাস্তার আসল চেহারা । রাস্তা দেখেই চক্ষু চড়কগাছ জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝির। জেলাশাসক সংশ্লিষ্ট আধিকারিক তথা বিডিওকে নির্দেশ দেন আবার রাস্তা নতুন করে তৈরি করতে। এছাড়াও তিনি গ্রামবাসীদের সঙ্গেও কথা বলেন।তিনি তাদের সমস্যার কথা শোনার পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগও শোনেন।

View More

আরও পড়ুন: পুরী থেকে গঙ্গাসাগরে যাওয়ার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! জাতীয় সড়কে উল্টে গেল পুন্যার্থী বোঝাই বাস

advertisement

এই বিষয়ে স্থানীয় মীনাজুল মল্লিক বলেন, “আমাদের এই রাস্তা পরিদর্শন করার জন্য ডি.এম এসেছিলেন। আমাদের রাস্তাটার যে গুণগত মান খারাপ হয়েছে সেই খবর তাঁর কাছে গিয়েছিল, এবং উনি সেটাই দেখতে এসেছিলেন। উনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছেন যে রাস্তা আবার নতুন করে তৈরি করে দেওয়া হবে। আমরা খুব খুশি। আমরা শুধু চাই আমাদের রাস্তাটা ঠিক হোক, আর কিছু চাইনা।”

advertisement

অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মঙ্গলকোট গ্রামে , শনিবার স্বচ্ছ অভিযানে নামেন খোদ মঙ্গলকোটের বিডিও জগদীশচন্দ্র বারুই। তিনি নিজেই গ্রামে বুজে যাওয়া নালা পরিষ্কার করতে সাফায় কর্মীদের সঙ্গে হাত লাগান। সঙ্গে ছিলেন মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রহিম মল্লিক, মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির মৎসের কর্মদক্ষ সৈয়দ বসির , পঞ্চায়েত সদস্য অঞ্জন মুন্সি-সহ পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যরা। এর পাশাপাশি মঙ্গলকোট গ্রামে যে সমস্ত খাবারের দোকান ছিল সেই দোকান গুলোতেও যান বিডিও।

advertisement

এই প্রসঙ্গে বিডিও বলেন, “এখানে যে খাবারের দোকানগুলো আছে মিষ্টির দোকান , চায়ের দোকান এবং অন্যান্য যে দোকান আছে তাদের আমরা সচেতন করেছি। আমরা তাদের বলেছি, তাঁরা যেন প্লাস্টিক ব্যবহার না করে। তাঁদের ব্যবহার করা জিনিসগুলি যেন ড্রেনে না ফেলে দেয়। প্রায়ই  দেখা যায় ড্রেনগুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে প্লাস্টিক, প্লেট ইত্যাদির জন্য। স্থানীয়দের আমরা বলেছি আপনাদের এলাকা পরিদর্শনে এসে আমরা কাজ শুরু করে দিয়ে গেলাম। এরপর সচেতন থাকা পরিস্কার রাখা আপনাদের দায়িত্ব।”

প্রসঙ্গত, পূর্ব বর্ধমান জেলায় নতুন জেলা শাসক আসার পর যেন আরও সক্রিয় হয়েছে সকল প্রশাসনিক আধিকারিকরা। জেলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করছেন সকলেই। অভিযোগ এলেই নেওয়া হচ্ছে বিশেষ পদক্ষেপ। এই কর্মকাণ্ডে খুশি জেলার মানুষরা ।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব বর্ধমান/
Purba Bardhaman News: সক্রিয় জেলা প্রশাসন! কাজের গাফিলতি দেখলেই কর্মীদের কপালে জুটছে বকুনি 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল