এ দিন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন মীনাক্ষী। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। মীনাক্ষী বলেন, “প্রশাসন যদি পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে, পঞ্চায়েত ভোটের দিনে এবং ভোটের পরে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করত তাহলে রাজিবুলের মতো ছেলেদের হারাতে হত না। এই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আমরা জোটবদ্ধভাবেই লড়াই করব। নিহত আমাদের সাথী, আমাদের ভাই। নিজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। দাবি শুধুমাত্র রাজিবুলের জন্য নয়, যে ক্ষমতার লোভে আর জেল যাওয়ার ভয়ে রাজিবুল-সহ গোটা রাজ্যের এ ভাবে যারা বাম কর্মীদেরকে খুন করল, মারল, জেলে ভরে রেখল মিথ্যে কেস দিয়ে, হাত পা ভাঙল তাদের শাস্তি তো হবেই । আর এই শাস্তির জন্য গোটা রাজ্য একাট্টা হচ্ছে ।”
advertisement
আরও পড়ুনঃ পাঁঠার মাংসের চেয়েও দামি! ‘এই’ সবজির স্বাদ-পুষ্টিগুণও প্রচুর, আপনার বাড়িতে খান?
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েতের ভোটের আগেরদিন বিষ্ণুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রের চত্বরে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয়েছিলেন সিপিআইএম কর্মী রাজিবুল শেখ। ভোটের দিন তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনঃ দিঘায় প্রবল উত্তাল সমুদ্র আছড়ে পড়ছে, মুহুর্মুহু এ কী ঘটছে! দিশেহারা পর্যটকরা
রাজিবুলের বাবা মোজাম্মেল শেখ বলেন, “নেত্রী এসে বলল যে পাশে আছি, থাকব। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ আমরা নেব, আমাদের জোটবদ্ধ হতে হবে । আমার ছেলেকে যেভাবে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে, তার প্রতিশোধ নিতে চাই , তাদের শাস্তি চাই ।”
এই ঘটনায় নিহতের পরিবার স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতা-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে এ দিন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ছাড়াও নিহত সিপিএম কর্মীর বাবা মোজাম্মেল শেখ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
Bonoarilal Chowdhury