যদিও অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মণিকা রায় ও তৃণমূল কর্মী শুভঙ্কর মজুমদার দাবি, চক্রান্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। মেমারির বড়র গ্রামেই বাড়ি রাজকুমার হাজরার। তিনি এদিন অভিযোগে জানান, টোটো চালিয়ে তিনি সংসার চালান। মাটির বাড়িতে থাকেন। অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য মণিকা রায় ও পঞ্চায়েত কর্মী (ভিআরপি) শুভঙ্কর মজুমদার একদিন তাঁকে ডাকে। তারা তাঁর স্ত্রীকে আশা কর্মীর চাকরি করে দেবে বলে জানায়। তার জন্য পঞ্চায়েত সদস্যা ও পঞ্চায়েত কর্মী তাঁর কাছে ৭০ হাজার টাকা দাবি করে। এত টাকা তিনি দিতে পারবেন না বলে জানালে, ৫৫ হাজার টাকা দিতে হবেই বলে জানিয়ে দেন পঞ্চায়েত সদস্যা ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বাল্যবিবাহ রোধ করলেন প্রধান শিক্ষিকা! কুর্নিশ সমাজের
এরপর টাকা দেন রাজকুমার বাবু। তবে তার পরও হয়নি স্ত্রীর চাকরি। চিকিৎসাধীন রাজকুমার হাজরা জানান, ধারদেনা করে ৫৫ হাজার টাকা তুলে দেন তিনি। তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও স্ত্রী আশা কর্মীর চাকরি হয়নি । এখন টাকাটাও ফেরৎ দিতে অস্বীকার করছেন পঞ্চায়েত সদস্যা ও পঞ্চায়েত কর্মী। তারই মধ্যে পাওনাদারা টাকা ফেরৎ চেয়ে প্রতিনিয়ত তাগাদা করছে। এই অবস্থায় আর মাথা ঠিক রাখতে না পেরে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন বলে রাজকুমার হাজরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেল ২০ জন
রাজকুমারের স্ত্রী সীমাদেবী বলেন, দশ বছর আগে মাধ্যমিক পাশ করেছিলাম। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য মণিকা রায় ও জনৈক শুভঙ্কর মজুমদার আমাকে আশাকর্মীর চাকরি করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় আমার স্বামীকে। সেই কথা স্বামী বিশ্বাস করে নিয়েছিল তাই পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েত কর্মীর দাবি মতো ৫৫ হাজার টাকা জোগারের জন্য তাঁর স্বামী ক্ষুদ্র ঋণদানকারী সংস্থা থেকে ওই টাকা ধার করে। ওই টাকা উনাদের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু তাঁর চাকরি তো হয়নি। এদিকে ঋণদানকারী সংস্থার তাগাদাও বাড়ছে।
Malobika Biswas