Purba Bardhaman: বাল্যবিবাহ রোধ করলেন প্রধান শিক্ষিকা! কুর্নিশ সমাজের
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
বাল্যবিবাহ আটকালেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। আজও জেলায় রয়েছে বাল্যবিবাহের চল। করোনার জেরে স্কুল বন্ধ থাকাকালীন বহু মানুষ তাঁদের বাড়ির স্কুল পড়ুয়াদের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন।
পূর্ব বর্ধমান : বাল্যবিবাহ আটকালেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। আজও জেলায় রয়েছে বাল্যবিবাহের চল। করোনার জেরে স্কুল বন্ধ থাকাকালীন বহু মানুষ তাঁদের বাড়ির স্কুল পড়ুয়াদের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। সেই রেস কাটেনি এখনও। পূর্ব বর্ধমান জেলার শহর বর্ধমানের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের লাকুরডি বিদ্যামন্দির স্কুলে দেখা গেল সেই চিত্র। স্কুলেরই সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী স্কুলে এসে মাঝে মাঝেই কান্নাকাটি করত প্রধান শিক্ষিকা দেখতে পেয়ে ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে এল সমস্ত তথ্য।
ছাত্রীটি জানায় তার অসম্মতিতে তার পরিবারের লোকজন বিয়ের দেখাশোনা করছেন সে এখন পড়তে চায় পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হতে চায়, অবশেষে প্রধান শিক্ষিকার উদ্যোগে স্কুলের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষিকা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি সেক্রেটারি চাইল্ড লাইন এর কর্মীরা, বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে এবং আত্মীয়-স্বজনদের বোঝান এবং একটি ফর্মে সই করিয়ে নেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেল ২০ জন
যাতে লেখা রয়েছে ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দিলে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পাপড়ি সাহা জানান, করোনার সময় স্কুল বন্ধ ছিল। সেই সময় সপ্তম শ্রেণী অষ্টম শ্রেণী এবং নবম শ্রেণীতে পাঠরত বেশ কিছু ছাত্রীকে তার অভিভাবকরা জোরপূর্বক বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন অল্প বয়সে। তাই আজকে এই মেয়েটির বিয়ে অল্প বয়সে যাতে না হয় তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হল।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ কালনার মহিষমর্দিনী পুজোর বিশেষ আকর্ষণ পুতুল নাচ
একই স্কুলের দুই ছাত্রীর একই সমস্যা। সমস্ত বিষয়টি দেখছে বর্ধমান লাকুরডি বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষিকা পাপড়ি সাহা। যাতে আর কোন অল্পবয়সী মেয়ের অল্প বয়সে বিয়ে না দেওয়া হয় সেদিকে নজর দেবে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
Malobika Biswas
view commentsLocation :
First Published :
August 17, 2022 5:03 PM IST