তবে দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলার পর গত শুক্রবার তিনি কটক হাসপাতালে মারা যান। খোকন শেখের স্ত্রী বুলটি খাতুন জানান যে, আমার স্বামী ভর্তি থাকাকালীন এম.পি সুরিন্দরজিৎ সিং আলুওয়ালিয়া আমাদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রেখেছিলেন।পাশাপাশি আর্থিক সাহায্যও করেছিলেন। শুক্রবার যখন আমার স্বামী মারা যায় রেল দফতরের পক্ষ থেকে আমাদের মৃতদেহ ট্রেনে করে আনার ব্যবস্থা করেছিলেন। এম.পি সুরিন্দরজিৎ সিং আলুওয়ালিয়া ১টি অ্যাম্বুলেন্স ও ১ টি চার চাকা গাড়ির ব্যবস্থা করে মৃতদেহ বাড়িতে এনে দেন।
advertisement
আরও পড়ুন- এ কী কাণ্ড! দুর্গন্ধময় জলে ভেসে যাচ্ছে হাসপাতাল… হিমশিম খাচ্ছেন মানুষ
আরও পড়ুন-বেহালার পর এবার নদিয়া! চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রকে পিষে দিল পিক আপ ভ্যান, বিক্ষোভ স্থানীয়দের
পাশাপাশি এদিন মৃত খোকন শেখের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ভাতারের ভাটাকুল গ্রামে পৌঁছান সাংসদ আলুওয়ালিয়া । মৃত পরিবারের লোকজন এম.পির এই ব্যবহারে খুশি হয়েছেন পাশাপাশি তিনি গ্রামবাসীর সঙ্গেও কথা বলেন। সাংসদ সুরিন্দরজিৎ সিং আলুওয়ালিয়া জানান, ‘আমি ভাতারের সমস্ত আহত পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি গিয়েছিলাম । তাদের খোঁজখবর নিয়েছি। খোকন শেখের খবর শুনে তার বাড়িও গিয়েছিলাম। এরপর রেল দফতরের খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সে কটক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে । দু’মাস ধরে সে জীবন যুদ্ধ চালাল, কিন্তু শুক্রবার সে হার মেনেছে। আমি ওনার মৃতদেহ বাড়িতে আনার ব্যবস্থা করি ।আজ পরিবারের সঙ্গে দেখা করলাম। আগামী দিনে ওর পরিবারের পাশে থাকব, চেষ্টা করব পরিবারের কাউকে কোনও চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া যায় কিনা। দুটি ছেলে আছে তাদের ফ্রিতে পড়াশোনার ব্যবস্থা করব।’ সাংসদের এই আশ্বাসে খুশি হয়েছেন খোকন শেখের পরিবারের লোকজন।
Bonoarilal Chowdhury