বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা এদিন শ্যামসুন্দর-জামালপুর সড়ক পথ অবরোধ করেও বিক্ষোভ দেখায়। পরে অবরোধ তুলে নিলেও গ্রামবাসীরা হুঁশিয়ারি দেয় পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন তাঁরা। মৃত ছাত্রের বাবা নজরুল মল্লিক জানিয়েছেন,তাঁর ছেলে সুরজ অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল। সে রায়নার শ্যামসুন্দর কলেজে বিএ দ্বিতীয় বর্ষে পাঠরত ছিল। সুরজ উচ্চ শিক্ষিত হচ্ছিল বলে ঈর্ষান্বিত ছিল গ্রামের সোহানা মির্জা, তাঁর বাবা মোস্তাক মির্জা ও তাঁর স্ত্রী। তাই তারা সুরজকে প্রাণে মেরে দেওয়ার পরিকল্পনা করে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ চাষের জমির ওপর দিয়ে গেইল ইন্ডিয়ার পাইপ লাইন! ক্ষুব্ধ চাষীরা
নজরুল মল্লিক বলেন ,“পরিকল্পনা মাফিক ইলেকট্রিক লাইন ঠিক করার অজুহাতে তারা ফোন করে সুরজ কে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। তার পর সুরজকে ঘরে আটকে রেখে হাত পা বেঁধে নির্মম ভাবে মারধর করে। জখম অবস্থায় সুরজ জল চাইলে অভিযুক্তরা সুরজের মুখে ফিনাইল (হারপিক) ঢেলে দেয়। সুরজ অচৈতন্য হয়ে পড়লে অভিযুক্তরা সুরজ কে রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলে যায়। সুরজের মা প্রভা আসরফ বেগম বলেন , পরদিন সকালে তিনি গ্রামের কলতলায় তাঁর ছেলেকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ছেলেকে প্রথম রায়না হাসপাতাল ও পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ছেলেকে প্রাণে বাঁচানো যায়নি।
আরও পড়ুনঃ কার্জন গেটের দু'ধারে রাজা ও রানীর পূর্ণাবয়ব মূর্তি উন্মোচন
এই মৃত্যুর জন্য তাঁর পরিবার সহ এলাকার বাসিন্দারা মোস্তাক মির্জা ও তার পরিবারের সকল সদস্য ও গ্রামের ভিলেজ পুলিশের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন, দুঃখজনক ঘটনা। ছাত্রের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই ছাত্রের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হয়ে যাবে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কেউ দোষী হলে তাঁকে সাজা পেতেই হবে। উত্তেজনা থাকায় গ্রামে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে বলে এসডিপিও জানিয়েছেন।
Malobika Biswas