এই ঘটনার পরই এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা নবস্তা এক পঞ্চায়েত অফিসে চড়াও হয়। অভিযোগ, পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও আধিকারিকদের মারধর করা হয়। পঞ্চায়েতের সরকারি সম্পত্তিও ভাঙচুর করা হয়। বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এরপরই শুরু হয় ধরপাকড় অভিযান। পাশাপাশি শুরু হয় পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়া নিয়ে তদন্ত। ধরপাকড় চলাকালীন এদিন ১৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ স্কুলে যাওয়ার পথে হেনস্থার শিকার ছাত্রীরা! পুলিশের দ্বারস্থ সবাই
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা বলেন প্লাসটিক ক্যারি ব্যাগের ব্যবহার বন্ধের বার্তা দিতে র্যলির আয়োজন করা হয়। সেই র্যলিতে আউশা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের নিয়ে যাওয়া হয়। র্যালি শেষে খুদে পড়ুয়ারা স্কুলে ফিরলে তাদের প্যাকেটজাত ঠান্ডা পানীয় ও কেক খেতে দেওয়া হয়। তা খাওয়ার পরই একের পর এক পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে। পেটে ও মাথায় যন্ত্রনা, মাথা ঘোরা ও বমি ভাব দেখা দেয়। প্যাকেটে ভরা যে জুস ও কেক খেতে দেওয়া হয়েছিল পড়ুয়ারা সেই খাবার খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ অসাধারণ সিদ্ধান্ত নিল জেলা পুলিশ! জেনে নিন সেই বিষয়ে...
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সুপার তাপস ঘোষ জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকেই পড়ুয়ারা অসুস্থতা বোধ করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে বর্তমানে হাসপাতালে আসা সকলেই সুস্থ রয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় জেলায়। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। তবে এখনও স্পষ্ট নয় কী ভাবে পড়ুয়াদের খাদ্যে বিষক্রিয়া হল। এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
Malobika Biswas