ইতিমধ্যেই মাস্টারপ্লান তৈরি করে কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রের অনুমোদন মিললেই পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই নতুন জু তৈরি হলে আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা, মাদারিহাট সহ ডুয়ার্সের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করছে এলাকার পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: নদনদীতে মাছ ধরে বেড়ান? জানেন সরকারি নিয়ম! না জানলে ফেঁসে যেতে পারেন যেকোন সময়
advertisement
বাম আমলে ২০০৫ সালে খুলেছিল দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রটি। তৎকালীন রাজ্যের বনমন্ত্রী ও ফালাকাটা বিধায়ক যোগেশ বর্মণের উদ্যোগে গড়ে উঠেছিল দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রটি। এই সময় বিভিন্ন সার্কাস থেকে উদ্ধার হওয়া কয়েকটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এই দক্ষিণ খয়েরবাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এছাড়া লোকালয় থেকে উদ্ধার হওয়া বেশকয়েকটি লেপার্ড নিয়ে আসা হয় এই দক্ষিণ খয়েরবাড়িতে। সে সময় ব্যাটারি চালিত গাড়িতে এই দক্ষিণ খয়েরবাড়ি পর্যটকদের ঘোড়ানো ব্যবস্থা করা হত। এছাড়া এই দক্ষিণ খয়েরবাড়ি জঙ্গলে ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া বুড়ি তোর্ষা নদীতে বোটিং-এর ব্যবস্থা ছিল। কিন্ত পরবর্তীতে ধীরে ধীরে নিজের গড়িমা হারিয়ে ফেলতে থাকে দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্র।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এক এক করে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মৃত্যুর ফলে কমতে থাকে এই কেন্দ্রে বাঘের সংখ্যা। শেষ পর্যন্ত এখানে ছিল সুন্দরবন থেকে আনা কুমিরের হানায় আহত বাঘ রাজা। দীর্ঘদিন এই দক্ষিণ খয়েরবাড়িতে ছিল রাজা। পরবর্তীতে রাজার মৃত্যুর পর এই দক্ষিণ খয়েরবাড়ি কেন্দ্রে আর কোন রয়েল বেঙ্গল টাইগার নেই। বর্তমানে বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া কয়েকটি লেপার্ড আছে এই কেন্দ্রে। দক্ষিণ খয়েরবাড়ি কেন্দ্রটি উন্নয়ন হোক দীর্ঘ দিনের দাবি এলাকার পর্যটন ব্যবসায়ীদের ও স্থানীয়দের।
এই দক্ষিণ খয়েরবাড়ি কেন্দ্রকে চিড়িয়াখানা করা হচ্ছে। তার মাস্টারপ্লান ইতিমধ্যে কেন্দ্রে কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান জলদাপাড়া ডিএফও প্রবীণ কাশোয়ান।
Annanya Dey