আজও জেলার কোনও এলাকায় বন্যপ্রাণ উদ্ধারের খবর এলেই ছুটে যান তিনি সেখানে। তাই তো বহু মানুষ তাঁর প্রশংসাও করে থাকেন। বাড়ির মানুষেরা যদিও তাঁর এই কাজ নিয়ে মাঝে মধ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তবুও তিনি এই কাজে পিছপা হন না বিন্দুমাত্র। উল্টে বাড়ির মানুষদের বোঝান বন্যপ্রাণ উদ্ধারের তাৎপর্য নিয়ে।
আরও পড়ুন- বাইক চালান যাঁরা, শীতে অনেকের সর্দি-কাশি হয়! বাঁচবেন কী করে? রইল টিপস
advertisement
বন্যপ্রাণ উদ্ধারকারী অর্ধেন্দু বণিক জানান, “ছোট সময় থেকেই তাঁর বন্যপ্রাণ উদ্ধারের প্রতি অনেকটাই ভালবাসা। একটা সময় তিনি সঠিক বুঝতেন না সাপেদের সম্পর্কে। তবে ভালবাসা ছিল অনেকটাই। তবে ধীরে ধীরে তিনি সাপেদের সর্ম্পকে পড়তে শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মানুষকে সাপেদের সর্ম্পকে বিশদে বুঝিয়ে থাকেন। এছাড়া একাধিক বিষধর ও নির্বিষ সাপ তিনি উদ্ধার করেছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। বহু মানুষ তাঁকে বিভিন্ন সময় যোগাযোগ করে থাকেন সাপ কিংবা অন্য বন্যপ্রাণ উদ্ধার করার জন্য।”
অর্ধেন্দু বণিক আরও জানান, “কোচবিহারে দু’বার চিতাবাঘ উদ্ধারের কাজে তিনি সহায়তা করেছেন বন দফতরের সঙ্গে। সেই দুই উদ্ধার কাজের সময় তিনি আহতও হয়েছিলেন। তাঁর কাঁধে ও পায়ে কিছুটা আঘাত লেগেছিল। তবুও তিনি বন্যপ্রানকে ভয় পান না। উল্টে তিনি তাঁর এই কাজকে তিনি আনন্দের সঙ্গে করে থাকেন। বর্তমান সময়ে তাঁর কারণে বহু মানুষ সাপেদের সম্পর্কে এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণের সর্ম্পকে অনেকটাই সংবেদনশীল হয়েছেন। আগামী দিনেও তিনি এই বন্যপ্রাণ উদ্ধার কাজ চালিয়ে যেতে চান। তাঁকে দেখে অনেকেই বর্তমানে বন্যপ্রাণ উদ্ধার ও সংরক্ষনের কাজে এগিয়ে আসেন।”
আরও পড়ুন- স্প্যাম রোধী নেটওয়ার্কের কামাল, আড়াই মাসে ৮ বিলিয়ন স্প্যাম কল শনাক্ত করল এয়ারটেল
দীর্ঘ সময় অতিক্রম হয়েছে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অভিজ্ঞতাও পূর্ণতা লাভ করেছে অনেকটাই। তবুও তিনি মনে করেন তাঁর আরোও অনেকটাই শেখা বাকি বন্যপ্রাণীর সর্ম্পকে। আগামী দিনে তিনি আরোও বহু মানুষকে শেখাতে চান বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ ও উদ্ধারের বিষয়। তাঁকে দেখে আগামী প্রজন্ম যেন বন্যপ্রাণীর প্রতি আরোও অনেকটাই সংবেদনশীল হয়ে ওঠে এটাই তাঁর প্রত্যাশা।
Sarthak Pandit