প্রতিবছরই লক্ষ্মী পুজোর প্রায় সাত দিন পর এই মেলার আসর বসে। এবং কালীপুজোর একদিন আগে শেষ হয়। প্রায় সাত দিনব্যাপী এই মেলায় দোকানপাট নিয়ে আসেন জেলা সহ ভিন জেলার ব্যবসায়ীরা। মূলত কাঠের সামগ্রী তৈরি করে বিক্রি করেন। খাট, টেবিল, চেয়ার, আলমারি, শোকেস সহ বাড়ির সমস্ত রকম কাঠের আসবাবপত্র বিক্রি হয় এই মেলায়।
advertisement
আরও পড়ুন : মুখ থুবড়ে পড়েছে কৃষিকাজ, ভেসে গিয়েছে জমি! জল নামতেই সামনে ভয়ঙ্কর রিপোর্ট, কতটা ক্ষতি হল উত্তরে?
এক ক্রেতা দুখু চন্দ্র মন্ডল জানান, “ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি এখানে মেলা বসে। কাঠের সামগ্রীর পাশাপাশি খাবার জিনিস, ছোটদের খেলনা এবং একাধিক রকম জিনিস রয়েছে মেলায়। মেলা শুরু হয়েছে, চলবে কালী পুজোর আগের দিন পর্যন্ত। খুব কম দামে কাঠের সামগ্রী এই মেলায় পাওয়া যায়। তাই প্রতিবছরই কোনও না কোনও কাঠের সামগ্রী কিনতে আসি।” এক কাঠের আসবাব বিক্রেতা রবি দাস জানান, “প্রায় দেড়শ বছর আগে স্থানীয় এক জমিদার ব্যক্তি চারু শেঠ এই মেলার সূচনা করেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
লক্ষী পুজোর সাত দিন পর এই মেলা বসে মহানন্দা নদীর তীরে। মেলায় কাঠের দোকান বসিয়েছি। ভাল বিক্রি হয়। উৎসবের মরশুমে এই মেলা হওয়ায় ব্যাপক ভিড় জমে মহানন্দা তীরবর্তী এই মেলায়। ঐতিহ্যবাহী এই মেলায় জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন ভিড় জমান। প্রায় দেড়শ বছর ধরে হয়ে আসা ঐতিহ্যবাহী এই মেলা আজও বর্ণনা করে পুরাতন মালদহের প্রাচীন একাধিক ইতিহাসকে।