North Bengal Flood : মুখ থুবড়ে পড়েছে কৃষিকাজ, ভেসে গিয়েছে জমি! জল নামতেই সামনে ভয়ঙ্কর রিপোর্ট, কতটা ক্ষতি হল উত্তরে?

Last Updated:
North Bengal Flood : গত ৫ অক্টোবরের ভয়াবহ বন্যা জলপাইগুড়ি জেলার কৃষকদের জীবনে গভীর ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৩ হাজার হেক্টর জমি জলমগ্ন হয়েছিল।
1/5
জলপাইগুড়িতে বন্যার ক্ষতচিহ্ন এখনও গভীর। কৃষিজমি ও বাঁধ নিশ্চিহ্ন অগুনতি! যার পরিমাণটা আপনাকে ভাবাবে, বোঝাবে বর্তমান ডুয়ার্সের বাস্তব চিত্র। যদিও এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই পুনর্গঠনে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জোর উদ্যোগ চলছে। গত ৫ অক্টোবরের ভয়াবহ বন্যা জলপাইগুড়ি জেলার কৃষকদের জীবনে গভীর ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে। রিপোর্ট বলছে, জেলায় প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমি ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেতে জলমগ্ন হয়েছিল।
জলপাইগুড়িতে বন্যার ক্ষতচিহ্ন এখনও গভীর। কৃষিজমি ও বাঁধ নিশ্চিহ্ন অগুনতি! যার পরিমাণটা আপনাকে ভাবাবে, বোঝাবে বর্তমান ডুয়ার্সের বাস্তব চিত্র। যদিও এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই পুনর্গঠনে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জোর উদ্যোগ চলছে। গত ৫ অক্টোবরের ভয়াবহ বন্যা জলপাইগুড়ি জেলার কৃষকদের জীবনে গভীর ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে। রিপোর্ট বলছে, জেলায় প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমি ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত জলমগ্ন হয়েছিল। <strong>(ছবি ও তথ্য - সুরজিৎ দে)</strong>
advertisement
2/5
জল নেমে গেলেও সেই জমিগুলিতে এখন ঘন আস্তরন পড়ে রয়েছে পলি, কাদা, বালি ও ডলোমাইটের। মৃত্তিকা বিভাগের প্রাথমিক সমীক্ষা জানাচ্ছে, এই আস্তর জমিকে অনুর্বর করে তুলছে এবং চাষ পুনরায় শুরু করা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।সম্প্রতি নাগরাকাটার বামনডাঙা ও টন্ডু এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ক্ষতিগ্রস্ত জমির ওপর জমে থাকা ডলোমাইটের আস্তরন দ্রুত তুলে বিক্রি করতে হবে, যাতে কৃষকরা অন্তত কিছু আর্থিক ক্ষতিপূরণ পান এবং জমি আবার চাষযোগ্য করা যায়।
জল নেমে গেলেও সেই জমিগুলিতে এখন ঘন আস্তরন পড়ে রয়েছে পলি, কাদা, বালি ও ডলোমাইটের। মৃত্তিকা বিভাগের প্রাথমিক সমীক্ষা জানাচ্ছে, এই আস্তরন জমিকে অনুর্বর করে তুলছে এবং চাষ পুনরায় শুরু করা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সম্প্রতি নাগরাকাটার বামনডাঙা ও টন্ডু এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ক্ষতিগ্রস্ত জমির ওপর জমে থাকা ডলোমাইটের আস্তরন দ্রুত তুলে বিক্রি করতে হবে, যাতে কৃষকরা অন্তত কিছু আর্থিক ক্ষতিপূরণ পান এবং জমি আবার চাষযোগ্য করা যায়।
advertisement
3/5
কৃষি দফতর জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো দ্রুত পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। মৃত্তিকা বিভাগ ইতিমধ্যেই জমিতে কীটনাশক স্প্রে, অনুখাদ্য সরবরাহ এবং মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পুনরায় চাষের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
কৃষি দফতর জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো দ্রুত পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। মৃত্তিকা বিভাগ ইতিমধ্যেই জমিতে কীটনাশক স্প্রে, অনুখাদ্য সরবরাহ এবং মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পুনরায় চাষের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
advertisement
4/5
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নাগরাকাটা ও ধূপগুড়ি ব্লকে। পাশাপাশি ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি সদর ও রাজগঞ্জ ব্লকেরও অবস্থা শোচনীয়। শুধু কৃষি নয়, সেচ ব্যবস্থাতেও বড়সড় ধাক্কা লেগেছে। সেচ দফতরের সমীক্ষা বলছে, নদীখাত, বাঁধ ও স্পারগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ময়নাগুড়ির আমগুড়িতে জলঢাকা নদীর ডানদিকের বাঁধ পাঁচ জায়গায় ভেঙে পড়েছে, মাথাভাঙার গিলাইডাঙা বাঁধে বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। নাগরাকাটার ডায়না, গাঠিয়া ও কুচি ডায়না নদীর তাণ্ডবে ভেঙে গেছে রাস্তা ও সেতু।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নাগরাকাটা ও ধূপগুড়ি ব্লকে। পাশাপাশি ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি সদর ও রাজগঞ্জ ব্লকেরও অবস্থা শোচনীয়। শুধু কৃষি নয়, সেচ ব্যবস্থাতেও বড়সড় ধাক্কা লেগেছে। সেচ দফতরের সমীক্ষা বলছে, নদীখাত, বাঁধগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ময়নাগুড়ির আমগুড়িতে জলঢাকা নদীর ডানদিকের বাঁধ পাঁচ জায়গায় ভেঙে পড়েছে, মাথাভাঙার গিলাইডাঙা বাঁধে বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। নাগরাকাটার ডায়না, গাঠিয়া ও কুচি ডায়না নদীর তাণ্ডবে ভেঙে গেছে রাস্তা ও সেতু।
advertisement
5/5
তবে পুনর্গঠন কাজে এখনই গতি আনা যাচ্ছে না। কারণ, অনেক বন্যাদুর্গত এখনও বাঁধ ও রাস্তার উপরেই আশ্রয় নিয়েছেন। সেচ দফতরের কর্মীদের কথায়, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যন্ত্রপাতি, ডিজেল ও পেট্রোল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। উত্তরবঙ্গের এই কৃষিনির্ভর অঞ্চলে বন্যার ক্ষত এখনও শুকায়নি, কিন্তু আশা...মানুষ ও প্রশাসন একসঙ্গে এগিয়ে এলে আবারও সবুজে ঢেকে উঠবে মাঠের পর মাঠ!
তবে পুনর্গঠন কাজে এখনই গতি আনা যাচ্ছে না। কারণ, অনেক বন্যাদুর্গত এখনও বাঁধ ও রাস্তার ওপরেই আশ্রয় নিয়েছেন। সেচ দফতরের কর্মীদের কথায়, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যন্ত্রপাতি, ডিজেল ও পেট্রোল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। উত্তরবঙ্গের এই কৃষিনির্ভর অঞ্চলে বন্যার ক্ষত এখনও শুকায়নি। কিন্তু আশা, মানুষ ও প্রশাসন একসঙ্গে এগিয়ে এলে আবারও সবুজে ঢেকে উঠবে মাঠের পর মাঠ। <strong>(ছবি ও তথ্য - সুরজিৎ দে)</strong>
advertisement
advertisement
advertisement