আরও পড়ুন: ফুলদানি থেকে জুতো, জ্যাকেট বাজার কাঁপাচ্ছে পাটের তৈরি জিনিস
উত্তরের চা বলয়ের শ্রমিকদের সুবিধার্থে চা বাগানে স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চা বাগানগুলিতে তৈরি হচ্ছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার ৪৪ টি চা বাগানে জোরকদমে চলছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির কাজ। আলিপুরদুয়ার জেলার রায়মাটাং, নিমাতিঝোরা, তাসাটি সহ বিভিন্ন চা বাগানগুলিতে গড়ে উঠছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের তাসাটি চা বাগানেও নতুন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনের কাজের সূচনা হয়েছে। বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শুধু বাগানের শ্রমিকরা নয়, পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারাও চিকিৎসার সুবিধা পাবেন।
advertisement
চা বাগানগুলিতে নতুন স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হওয়ায় খুবই খুশি চা বাগানের শ্রমিকরা। চা বাগানে কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছিল না। এর কারণে বাগানের শ্রমিকদের খুবই সমস্যা হত। শ্রমিকদের বাগান থেকে প্রায় ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে গ্রামীণ হাসপাতাল ও জেলা হাসপাতালে যেতে হত। প্রায় সমস্ত চা বাগানেই একই সমস্যা দেখা যেত। শ্রমিকদের সমস্যার কথা চিন্তাভাবনা করে চা বাগানগুলিতে স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে রীতা ওরাঁও নামের এক চা শ্রমিক বলেন, আমাদের চা বাগানগুলিতে চিকিৎসার সঠিক ব্যবস্থা ছিল না, অসুস্থকে নিয়ে অনেক সময় হাসপাতাল পৌঁছনোর আগেই মৃত্যু হতো। এখন প্রত্যেক বাগানে হাসপাতাল হচ্ছে, এতে অনেকের প্রাণ বাঁচবে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
আলিপুরদুয়ার জেলায় চা বাগানে ১৭ টি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি জেলা নিয়ে এই সংখ্যাটা মোট ৪৪ টি। প্রত্যেকটি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স থেকে শুরু করে সব রকমের ব্যবস্থা থাকবে। এই বিষয়ে তাসাটি চা বাগানের ম্যানেজার বিপ্লব চক্রবর্তী জানান, রাজ্য সরকার যেভাবে আমাদের চা বাগান নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছেন এতে নিশ্চয়ই চা শিল্প উপকৃত হব। বাগানে এরকম হাসপাতাল পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়।
অনন্যা দে