ইস্যু বলতে শুধুই অনুন্নয়ন। অভিযোগ, সুষ্ঠু সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত পাহাড়ের বহু গ্রাম। আশা, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জিতে আসবেন জনপ্রতিনিধিরা। এলাকায় কাজ হবে, সামান্য জন্ম বা মৃত্যুর সার্টিফিকেটের জন্যে আর ছুটতে হবে না শহরে। ঘরের পাশে পঞ্চায়েত বা বিডিও অফিসেই মিলবে যাবতীয় শংসাপত্র। তাই খুশি রোশন সুব্বা, ফুরবা শেরিং ভুটিয়ারা। মুখিয়ে রয়েছে নতুন প্রজন্মের ভোটারেরাও। জন্মের পর অনেকেই এবারে অংশ নেবে গ্রাম দখলের নির্বাচনে।
advertisement
পাহাড়ের পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়বে পদ্ম শিবিরও। লড়বে বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, মন ঘিসিংয়ের জিএনএলএফও। পাহাড়ের প্রতিটি দলই স্বাগত জানিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত দাবি করলেও দ্বিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনেও আপত্তি নেই কোনও দলেরই। সব দলেরই সাফ কথা ২২ বছর ধরে ভোট নেই পাহাড়ে। যত দ্রুত সম্ভব ভোট হোক। তবে তা যেন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়। গ্রামেও উন্নয়নের জোয়ার আনতে হবে। গতকালই রাজ্য নির্বাচন কমিশন পাহাড়ের গ্রামীণ এলাকার সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং সংরক্ষনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তারপর থেকেই প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোরও তৎপরতা তুঙ্গে।
আরও পড়ুন: মমতার 'আশঙ্কাই' সত্যি হল! অভিষেককে ফের তলব ইডি-র, এবার কলকাতাতেই জেরা
পাহাড়ের গ্রামের বাসিন্দারাও রাজ্যের সিদ্ধান্তে খুশি। গত ২২ বছরে সেভাবে উন্নয়ন হয়নি। বাড়ির পাশে পঞ্চায়েত বা বিডিও অফিস থাকলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কেন না জনপ্রতিনিধি শূন্য বোর্ড টানা ২২ বছর ধরে। অনেকেরই কথায়, পাহাড়ী গ্রামগুলিতে যা কাজ হয়েছিল সেই ইংরেজ আমলে। তারপর থেকে শুধুই অনুন্নয়নের ছবি। রাস্তাঘাট, পানীয় জল পরিষেবা থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সবক্ষেত্রেই কাজের ভাঁড়ার শূন্য। এখন পাহাড়বাসী প্রহর গুনছে নির্বাচনের দিন ঘোষণার।