আহম্মেদ হোসেন জানান, “ছোটবেলায় তাঁর দিদির বাড়ির পাশে এটি ঝালাই মেশিনের দোকান ছিল। সেখানে সেই ঝালাইয়ের উল্কি দেখে তাঁর মনে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর প্রতি আগ্রহ জন্মায়। তবে পারিবারিক আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকার কারণে তা সম্ভব হয়নি। কিন্তু, ইন্টারনেটের সহযোগিতায় তিনি শিখেছেন অনেক কিছু। বর্তমানে তিনি তৈরি করেছেন ছোট থেকে বড় বহু যন্ত্রা। যেগুলি কৃষিক্ষেত্রে এবং অন্যান্য বেশ কিছু ক্ষেত্রেও কাজে লাগানো সম্ভব। ছোটবেলায় যে জিনিসটি তাঁর নেশা ছিল, সেই বিষয়টিকে তিনি তাঁর পেশায় রূপান্তরিত করেছেন।”
advertisement
আরও পড়ুন : ১ চামচ কালো জিরে করবে ছিপছিপে! কমাবে ব্লাড সুগার! শুধু খেতে হবে এভাবে, দিনের এই সময়ে
তিনি আরও জানান, “বর্তমান সময়ে তাঁর এলাকার মানুষ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আবদার নিয়ে আসেন তাঁর কাছে। তিনি সাধ্য মতো সেই সব যন্ত্র বানিয়ে তাঁদের মন রক্ষা করেন। তবে তাঁর বানানো যন্ত্রপাতি গুলো বাজারে যে সমস্ত যন্ত্র পাওয়া যায় তার চাইতে হয় অনেকটাই কম দামের। তবে গুণগতমান হয় অনেকটাই ভাল। কারণ, মানুষকে বানিয়ে দেওয়া যন্ত্রগুলি যদি খারাপ হতে শুরু করে তবে তাঁর ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তাই তিনি নিজের সবটুকু দিয়ে এই কাজটি করেন মনোযোগ সহকারে।
বর্তমান সময়ে বহু মানুষ প্রতিনিয়ত তাঁর কাছে আজ এসে থাকেন বিভিন্ন যন্ত্রের বিষয় নিয়ে। তিনিও সাধ্য মতো সেগুলি তৈরি করে থাকেন। কিছুদিন আগে তিনি তৈরি করেছেন এক ধরনের এয়ার লোয়ার। তাঁর আগে তিনি স্বল্প খরচে তৈরি করেছিলেন অটোমেটিক সিট ড্রিলিং মেশিন। এছাড়াও তাঁর অনেক যন্ত্রপাতি রয়েছে যেগুলি বর্তমান সময়ে কৃষিক্ষেত্রে বহু মানুষ ব্যবহার করছেন। তাইতো নিজের কাজ দিয়েই মানুষটি সকলের কাছে পরিচিত ইঞ্জিনিয়ার ম্যান হিসেবে।