কালী পূজার পরের দিন এভাবেই গাই পাহুর অনুষ্ঠান পালন করে আসছে যাদব সম্প্রদায়ের মানুষেরা। এদিন গরু পুজো করে থাকেন যাদব সম্প্রদায়।
তার পরেই ঐতিহ্যবাহী এই খেলায় মেতে ওঠেন। পাশাপাশি এদিন লাঠি খেলাতেও মেতে উঠেন যাদব সম্প্রদায়ের খুদে থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সকলেই।
আরও পড়ুন- বারাসতে কালীপুজোর জনসমুদ্র! প্রশাসনের জায়ান্টস্ক্রিন করে দিল মুশকিল আসান!
advertisement
পূর্ব পুরুষদের রীতি মেনে কালী পুজোর পরের দিন বিকেলে গরু মহিষের পুজো করা হয়। তারপর অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাতে গরু দিয়ে একটি শূকর মারা হয়।
মালদহের একাধিক প্রান্তে যাদব সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই খেলায় তাঁদের গরু মহিষ নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। এই খেলায় গরু ও মহিষ শিং দিয়ে গুতিয়ে শূকর বধ করে।
যাদব সম্প্রদায়ের সদস্য উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, পূর্বপুরুষ ধরে হয়ে আসছে এই খেলা। কালী পুজার পরের দিনই অনুষ্ঠিত হয়। আমরা সকলে আনন্দ করি এই খেলার মধ্যে দিয়ে।
মালদহের হবিবপুর ব্লকের অনন্তপুর ও ইংরেজবাজার ব্লকের মহদীপুরের শতাধিক যাদব সম্প্রদায়ের মানুষজন এই খেলায় নিজের গবাদিপশু নিয়ে অংশ গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন- সোনাঝুরির হাটে গিয়েছেন, জানেন সেই হাটের ইতিহাস? রইল অবাক করা তথ্য…
এই খেলা দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেন। শূকর বধের পর নিজেদের মধ্যে লাঠি খেলায় অংশগ্রহণ করেন সকলে। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে এই লাঠি খেলার প্রতিযোগিতা।
গাই পাহুর বা শূকর বধ প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে এমনটায় দাবি বর্তমান প্রজন্মের। যাঁর গরু শূকর বধ করবে তিনি হবেন জয়ী। এখন যাঁর গরু জয়ী হয় তিনি সবাইকে মিষ্টি খাওয়ান।
কাজল ঘোষ বলেন, এই খেলা পূর্বপুরুষ ধরে হয়ে আসছে। আমরা এদিন গরুর পূজা করি। তারপর এই খেলায় মেতে উঠি। নিজেদের মধ্যে লাঠি খেলার প্রতিযোগিতাও করে থাকি।
রীতি মেনে কালীপুজো উপলক্ষে পুজোর পরের দিন এই অনুষ্ঠান ঘিরে ব্যাপক উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। এখনও প্রাচীন এই রীতি বহাল রয়েছে মালদহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে।
হরষিত সিংহ