সকলে চিত্ত বাবুর টোটোর এই অসাধারণ সফর করতে করতে বেশ উপভোগও করেন। আর এই ভাবেই কেটে যায় জীবন। চিত্ত বাবু জানান, পা দিয়ে টোটো চালিয়ে তিনি অনেক দূর পর্যন্ত পৌঁছে যান। কখনও ঝুঁকি মনে হয় না। এইভাবে তিনি প্রায় কয়েক বছর ধরে মানুষকে বিনোদন দিয়ে চলছেন। তিনি জানালেন মনে অনেক ব্যথা। সেই কষ্ট লাঘব করতে বাঁশি একমাত্র ভরসা।
advertisement
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে মশা তাড়ান! বাড়িতে রাখুন এই ৫টি ভেষজ উদ্ভিদ, ভুলেও ঢুকবে না মশা, বলছেন বিশেষজ্ঞ
আক্ষেপের সুরেই চিত্ত বাবু বললেন, ”বাঁশির জন্যই বেঁচে আছি, আমি একা, আমায় কে দেখবে ভগবান ছাড়া?” রোজ ভোর সাড়ে তিনটের সময় উঠে টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি। বাড়ি থেকে বাঁশি বাজাতে বাজাতে চলেন গন্তব্যে। আলো-আঁধারি আকাশ, গ্রামের মেঠো পথ। তার মাঝে বাঁশির সুরের মূর্ছনা। এ যেন এক অনন্য অনুভূতি। তার বাসির সুরে ঘুম ভাঙে গ্রামের মানুষের। তাঁর বাঁশির আওয়াজ শুনতে অনেকেই টোটোয় চাপেন।
গ্রামবাসীরা জানান, প্রায় আড়াই বছর ধরে তাঁরা এই টোটোতে যাতায়াত করেন। পা দিয়ে টোটো চালানো নিয়ে কখনও ভয় পায় না যাত্রীরা। বরং তাঁরা এই অভিনব টোটো ভ্রমণকে উপভোগ করেন। এমন টোটো চালানো দেখে হতবাক অন্যান্য টোটো চালকও। তাঁরাও চিত্তবাবুর বাঁশি সুর শুনে বিভোর। সত্যিই চিত্ত সিংহের এই কর্মকাণ্ড তাঁকে আর পাঁচ জনের থেকে অনেকটা আলাদা করে তুলছে।
পিয়া গুপ্তা