এই বছর এখনও পর্যন্ত দেবাশিস ৫-১০ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের ৪টি মিনি দুর্গা বানিয়েছেন। বারোয়ারি ক্লাবের পাশাপাশি দেশ-বিদেশেও তাঁর প্রতিমা পৌঁছে গিয়েছে। নেপাল, রাজস্থান, মহীশুর থেকে শুরু করে বর্ধমান, শিলিগুড়ি- সব জায়গায় তাঁর শিল্পকর্মের ছাপ। স্থানীয় বহু দুর্গাপুজোর মণ্ডপেও দেবাশিসের মিনি দুর্গার আলাদা আকর্ষণ।
আরও পড়ুনঃ বাঁকুড়ায় বড় কর্মসূচি রাজ্যের মন্ত্রীর, দূর হবে বহু সমস্যা! কী এমন করলেন বিপ্লব রায় চৌধুরী?
advertisement
মাটি, পোয়াল, বাঁশ, কাঠ দিয়ে যেমন বড় প্রতিমা গড়া হয়, সেই একই প্রক্রিয়াতেই দেবাশিস মিনি দুর্গা তৈরি করেন। এখানেই শেষ নয়, অলঙ্কার ও সাজসজ্জা বাজারে মেলে না। তাই সরস্বতী পুজোর পর থেকেই দেবাশিস নিজে অলঙ্কার বানানো শুরু করেন। প্রতিমার রঙে সহযোগিতা করেন স্ত্রী বেবি ঝা। ফলে এক-একটি মিনি দুর্গা হয়ে ওঠে একেবারে নিখুঁত শিল্পকর্ম।
৫ ইঞ্চি থেকে ২৫ ইঞ্চির মিনি দুর্গার দাম ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। দেবাশিসের কথায়, ‘শুধু পুজোর জন্য নয়, অনেকেই ঘরের সৌন্দর্য বা নিত্যপুজোর জন্য মিনি দুর্গা চান। চাহিদা প্রতি বছরই বাড়ছে’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জলপাইগুড়ির বামনপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটির সুশোভন সরকার বলেন, ‘বড় প্রতিমার পাশাপাশি মিনি দুর্গা দর্শনার্থীদের আলাদা আনন্দ দেয়। থিমের সঙ্গে মানানসই হয়, আবার ছোট প্রতিমা বাস্তবে দেখে মানুষ খুশি হন’। এবারও রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও ভিনরাজ্য থেকে বেশ কয়েকটি অর্ডার নিয়ে আশাবাদী দেবাশিস। বুক ভরা আশায় তিনি জানান, মিনি দুর্গা শুধু আমার শিল্প নয়, এটা আমার ভক্তি।