আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের জন্য পুজোর আগেই বড় খবর!বাসযাত্রা নিয়ে চিন্তা কমল অনেকটা
প্রতিমা শিল্পী ঝর্ণা পাল ও যমুনা পাল জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে কোচবিহারের মারুগঞ্জ এলাকায় কারখানা তাঁদের। এখনো পর্যন্ত প্রচুর মূর্তি তৈরি করেছেন দু’জনে। প্রতি বছর দুর্গা পুজোর প্রায় দুই থেকে তিন মাস আগে থেকে মূর্তি নির্মাণের পর্ব শুরু হয়। মূর্তির গায়ে মাটি লাগানো থেকে শুরু করে, চক্ষুদান পর্যন্ত সবটাই করেন তাঁরা। পুরুষেরা শুধু মূর্তির কাঠের ফ্রেম নির্মাণ করতে সাহায্য করেন। চলতি বছরেও প্রায় ১৫ টির বেশি মূর্তি তৈরি করেছেন এই শিল্পীরা। এবারও এই মূর্তিগুলি পার্শ্ববর্তী অসম ও বিহারের বেশ কিছু এলাকায় যাবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: স্বামীর কাছে হাতেখড়ি, এখন প্রতিমা গড়েই সংসার চলছে মহিলা মৃৎশিল্পীর
কোচবিহার জেলার আরও এক মহিলা প্রতিমা শিল্পী বীণা পাল জানান, “বিয়ে হয়ে আসার পর থেকে প্রতিমা নির্মাণের কাজে হাতে খড়ি তাঁর। তবে এখনো পর্যন্ত বেশ অনেকগুলি প্রতিমার কাজ করেছেন তিনি। প্রতিবছর প্রতিমার রং করা থেকে শুরু করে কাপড় পরানো ও চক্ষুদান করতে হয় তাঁকে। তবে তাঁদের কারখানা কোচবিহার খাগড়াবাড়ি সংলগ্ন এলাকায়। চলতি বছরেও তাঁর কারখানার মূর্তি পার্শ্ববর্তী অসাম রাজ্যের একটি এলাকায় যাবে পুজোর উদ্দেশ্যে। কয়েকদিনের মধ্যেই সেই মূর্তি নিয়ে যাওয়া হবে। প্রতিবছর এক প্রকার আবেগের বশেই এই প্রতিমা তৈরির কাজ করে থাকেন এই শিল্পী।”
মহিলা প্রতিমার শিল্পীদের হাতের তৈরি এই প্রতিমা গুলি দেখতে আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। ফলে বহু মানুষের নজর খুব সহজেই আকর্ষণ করতে পারে এই মূর্তিগুলি। প্রতিবছর বিভিন্ন রকম ভাবে মূর্তির বদল ঘটান এই মহিলা প্রতিমা শিল্পীরা।
দুর্গা পুজো ২০২৪, ফিচার , পুজো 360, পুজো ইন্টিরিয়র, পুজোর রেসিপি, দুর্গা পুজোর ভ্রমণ, বনেদি বাড়ির পুজো, জেলার পুজো, অন্য পুজো
Sarthak Pandit