তবে কালের বিবর্তনে সেই ক্লাবই একসময় পরিণত হয় ভূত বাংলোতে! কিন্তু এবার নতুন উদ্যোমে পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ১৮৯৪ সালে কোম্পানি আইনে নথিভুক্ত হওয়া জলপাইগুড়ি ক্লাব একসময় পরিচিত ছিল ইউরোপিয়ান ক্লাব নামে। ১১ একর জায়গার ওপর তৈরি হওয়া এই ক্লাবের দোতলায় ছিল থাকার ঘর, একতলায় বার, বিলিয়ার্ড রুম, পাঠাগার আর টেনিস কোর্ট।
advertisement
আরও পড়ুন-যৌনতায় উঠত ঝড়…! বাবা-ছেলে দু’জনের সঙ্গেই প্রেম করেছেন বলিউডের এই সেক্সবম্ব,ঋষি কাপুরের সঙ্গে…
একসময় ইংরেজদের বিলাসের প্রতীক হয়ে ওঠা এই ক্লাব কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছিল। সেই ইংরেজদের রেখে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তবে পরিবর্তন নয়, বরং সংরক্ষণই মূল লক্ষ্য। দেওয়ালে নতুন রং লাগলেও, থাকবে সেই পুরনো বাঘের মুখ, সেই কাঠের খাট, সেই বিলিয়ার্ড টেবিল, এমনকি বসার চেয়ার পর্যন্ত!
শুধুই পুরনো চুন-সুরকি বদলে মজবুত সিমেন্টের কাঠামো। এই উদ্যোগ নিয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের এক সদস্য বলেন, “আমরা চাই, ক্লাবটি তার মূল রূপেই টিকে থাকুক। ইতিহাসের সঙ্গে আমরা আপোস করতে রাজি নই।”জলপাইগুড়ির মানুষের কাছেও এই উদ্যোগ এক নস্টালজিক মুহূর্ত। পুরনো ঐতিহ্যের ছোঁয়া গায়ে মেখে আবার প্রাণ ফিরে পেতে চলেছে একসময়ের ইউরোপিয়ান ক্লাব!
সুরজিৎ দে