কোথাও বাজে রবীন্দ্রসঙ্গীত, কোথাও শোনা যায় দেবী বন্দনা, আবার কোথাও আবৃত্তি ছুঁয়ে যায় আশেপাশে থাকা শ্রোতাদের মন। চারপাশের প্রকৃতিও যেন অংশ নেয় এই আয়োজনে। পাখির ডাক, নদীর ঢেউ, আর শীতল হাওয়া মিলেমিশে তিস্তা পারে এখন হামেশা দেখা যায় এক স্বপ্নিল পরিবেশ।
আরও পড়ুন : বর্ডার পেরিয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে নদিয়ার এই জিনিস! পুরনো কাজে ফিরছেন অনেকে
advertisement
সম্প্রতি আয়োজিত আগমনী শুটের অন্যতম আয়োজক, যিনি আমেরিকা থেকে ফিরেছেন, তিনি জানালেন, “আমি জলপাইগুড়ির মেয়ে। এখানে ফিরে মহালয়ার আগে এমন কিছু করতে পারা আমার কাছে অপরিসীম আনন্দের।” তাঁর কণ্ঠে স্পষ্ট ছিল আবেগ আর নস্টালজিয়া। তার কথায়, এই আয়োজন কেবল ক্যামেরার জন্য ছিল না। এটি ছিল এক শুভেচ্ছা-বার্তা। শারদীয়ার আমন্ত্রণ পৌঁছে দেওয়ার এক অভিনব উপায়। নৌকা-বিহারের মাঝেই রঙ তুলির মতো আঁকা হচ্ছিল আনন্দ, মিলন আর উৎসবের গল্প।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিস্তার গায়ে পড়া শেষ বিকেলের সোনালি আলোয় নৌকার ডেকে দাঁড়ানো শিল্পীরা যেন দেবীপক্ষের প্রথম কাঁসরের ধ্বনি বাজিয়ে দিলেন। দর্শকদের চোখে-মুখে ফুটে উঠল একটাই অনুভূতি, উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধু পুজোর দিনগোনা বাকি।জলপাইগুড়ির তিস্তা পাড়ের এই আগমনী শুট বুঝিয়ে দেয়, উৎসবের সৌন্দর্য্য শুধু মঞ্চ আর আলোয় সীমাবদ্ধ নয়, প্রকৃতির সঙ্গেও তা অসাধারণভাবে মিশে যেতে পারে!