বর্তমান সময়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কাছে হার মেনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ‘বাটুল’ কিংবা অতিপরিচিত গুলতি। এক সময় গ্রামীণ জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল ‘বাটুল’ বা ‘গুলতি’। এটি মূলত হিংস্র পশু, বানর বা ছাগল তাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হত, এমনকি উড়ন্ত পাখি শিকারের কাজেও লাগত। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন সেই ঐতিহ্য যেন বিলীন হতে বসেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বিশাল ঘুড়ির লড়াই প্রতিযোগিতা বসতে চলেছে তিস্তার পাড়ে! জেনে নিন কবে
এক সময়ে গ্রামের শিশুরা ছোটবেলায় নিজেদের খেলার সঙ্গী হিসেবে বেছে নিত বাটুলকে। পাখি শিকার কিংবা মাঠের ফসল রক্ষা করতে কৃষকরা বাটুল ব্যবহার করতেন। তবে সময়ের পরিবর্তনে, বিশেষ করে পরিবেশ সচেতনতা ও আইনগত কড়াকড়ির কারণে, এখন আর পাখি শিকারের জন্য এটি ব্যবহার হয় না। বাজারে এখনও টিকে আছে কিছু বিক্রেতা, বিভিন্ন হাটবাজারে এখনও কিছু বিক্রেতা বাটুল বিক্রি করেন, তবে আগের মত চাহিদা নেই।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এক বিক্রেতার ভাষায়, “আগে প্রতিদিন অনেক গুলতি বিক্রি হত, এখন সপ্তাহেও তেমন বিক্রি হয় না। মূলত বানর ও ছাগল তাড়ানোর জন্য কিছু মানুষ এখনও এটি কিনে নেন।” প্রযুক্তির দাপটে কার্যত কোণঠাসা বাটুল আগে গ্রামের প্রতিটি ঘরে শিশু-কিশোরদের হাতে দেখা যেত এই গুলতি, কিন্তু এখন মোবাইল ফোন, ভিডিও গেমের দুনিয়ায় তারা হারিয়ে ফেলেছে সেই আগ্রহ। তাছাড়া, আধুনিক পদ্ধতিতে ফসলের সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে ওঠায় বাটুলের ব্যবহারও কমে গেছে। তবে, বয়স্কদের নস্টালজিকভাবে বলতে শোনা যায়, “আমাদের সময় বাটুল ছিল এক অনন্য রোমাঞ্চ।” হয়ত পুরনো দিনের স্মৃতির কারণে কিছু মানুষ আজও এটি সংগ্রহ করে, তবে গ্রামীণ বাংলার ঐতিহ্য হিসেবে বাটুল এখন শুধুই স্মৃতির পাতায় রয়ে যাচ্ছে।
সুরজিৎ দে





