ধূপগুড়ি ও ময়নাগুড়ির একাধিক গ্রাম, পাশাপাশি ডুয়ার্সের নাগরাকাটার জলঢাকা নদী সংলগ্ন এলাকাগুলি বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুল্লাপাড়া এলাকায় জলঢাকার প্রবল জলোচ্ছ্বাসে বহু কাঁচা ও পাকা বাড়ি ভেঙে পড়ে। ভেসে যায় আসবাব, নষ্ট হয় চাষের জমি, বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে দৈনন্দিন জীবন।
আরও পড়ুনঃ পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের জন্য নয়া আকর্ষণ! চিলাপাতা পয়েন্টে বাড়ছে ভিড়, কী জন্য জানুন
advertisement
এখন গ্রামে ঢুকলেই শোনা যাচ্ছে হাতুড়ি-বাটালের শব্দ। কোথাও রাজমিস্ত্রি ইট বসাচ্ছেন, কোথাও আবার বাঁশ-বেত দিয়ে অস্থায়ী কাঠামো গড়ে উঠছে। রাজ্য সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের অর্থ হাতে পেয়ে বহু পরিবার পুরনো ভিটেতেই নতুন করে ঘর তোলার কাজে নেমে পড়েছেন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মাথার উপর স্থায়ী ছাদ গড়ে তোলাই লক্ষ্য।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে গ্রামবাসীদের একটাই আক্ষেপ, ক্ষতিপূরণের অঙ্ক যদি আর একটু বেশি হত, তাহলে ঘরগুলো আরও মজবুত ও নিরাপদ করে তৈরি করা যেত। তবুও যেটুকু পেয়েছেন, তাতেই নতুন করে জীবন গড়ার চেষ্টা চলছে। এক বন্যা বিধ্বস্ত বাসিন্দা বলেন, “বিপদ অনেক বড় ছিল, কিন্তু বাঁচার ইচ্ছেটা আরও বড়।” প্রকৃতির রোষে ক্ষতবিক্ষত হলেও ডুয়ার্সের এই মানুষগুলির লড়াই আজ আশার গল্প শোনাচ্ছে। ধ্বংসের মধ্যেও কীভাবে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানো যায় সেটা শেখাচ্ছেন তাঁরা।





