সেই কথা মাথায় রেখেই পর্যটকদের একজন দায়িত্ববান ট্যুর গাইড উপহার দিতে জিটিএ পর্যটন দফতরের পক্ষ থেকে দার্জিলিংয়ের ভানুভবনে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা। এই কর্মশালায় মোট ৫০ জন অ্যাডভেঞ্চার গাইড অংশগ্রহণ করেন। তিন দিন পর এই কর্মশালা শেষে তারা সরকার অনুমোদিত একটি শংসাপত্র পাবে। এই কর্মশালায় শুধু পর্যটকদের গাইড করায় নয়, ভ্রমণ চলাকালীন সময়ে তাদের শারীরিক অসুস্থতা থেকে শুরু করে যে কোন সমস্যায় তারাইয়,কীভাবে পর্যটকদের পাশে থাকবে সেই সমস্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে জিটিএ অ্যাভেঞ্চার ট্যুরিজমের ডিরেক্টর দাওয়া শেরপা বলেন, “এর আগে দেখা গিয়েছে, সান্দাকফুর মত অধিক উচ্চতায় ট্রেকিং-এর সময় অনেকেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় পড়ে। এছাড়াও অনেকের শারীরিক অবনতি হয় সেই সময়ে হাতের কাছে কোন হসপিটাল না থাকায় অনেক সময় অসুবিধায় পড়তে হয় পর্যটকদের। এই প্রথম দার্জিলিংয়ে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ফার্স্ট এইড সার্টিফিকেশন যুক্ত গাইড থাকবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: দার্জিলিং বেড়াতে গেলে এই জায়গায় যেতে ভুলবেন না! পেয়ে যাবেন দারুণ কিছু! জানুন
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ইতিমধ্যেই জিটিএ পর্যটন দফতরের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে একাধিক অক্সিজেন সিলিন্ডাদের তার পাশাপাশি এবার থেকে ট্যুর গাইডের কাছে থাকবে ফার্স্ট এইড কিট। পাহাড়ে গিয়ে পর্যটকদের নিরাপত্তায় যাতে কোন খামতি না থাকে সেজন্য অধিক উচ্চতায় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হলে সেই গাইড কীভাবে তাকে সেই সমস্যা থেকে বের করে আনবে সমস্তটাই এই কর্মশালায় তাদের শেখানো হয়।পর্যটকদের নিরাপত্তাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে জিটিএ পর্যটন দফতরের এই উদ্যোগ। আন্তর্জাতিক স্তরের প্রশিক্ষক দিয়ে পাহাড়ের ৫০ জন অ্যাভেঞ্চার গাইডকে কীভাবে একজন দায়িত্ববান গাইড হওয়া যায় এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা দেওয়া যায় সে সমস্ত বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পর্যটকদের নিরাপত্তায় অভিনব উদ্যোগ জিটিএ পর্যটন দফতরের।
সুজয় ঘোষ





