ছোট্ট বয়স থেকে যেভাবে ভোলাকে এলাকার বাসিন্দারা দেখেছেন, তাতে ভোলার প্রতি সবার হৃদয়ে একটি আলাদা স্থান তৈরি হয়েছিল। প্রায় চারদিন অসুস্থ থাকার পর, ভোলার মৃত্যুর খবর শোনামাত্রই প্রায় শতাধিক মানুষ একত্রিত হন। তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে খোল করতাল সহযোগে হরিনাম করতে করতে নদীর তীরে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, ভোলার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করারও তোড়জোড় চলছে। পথচলতি মানুষরা অবাক হয়ে যান এমন অন্তিম যাত্রা দেখে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আজব কাণ্ড! জেনারেটর থাকলেও নেই তেল! ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে চলছে হাসপাতালের কাজ
কে এই ভোলা জানেন?
এলাকার বাসিন্দারা জানান, “ভোলার সঙ্গে তাদের সম্পর্কটা ছিল অনেক দিনের। একে অপরকে চেনা এবং জানার মধ্যে একটা বন্ধুত্বের মত অনুভূতি ছিল। ভোলাকে কখনও না দেখলে পাড়ার মানুষদের মন খারাপ হয়ে যেত।”
আরও পড়ুনঃস্কুলে এত বড় কান্ড…! চলছে ৩ বছর ধরে, জানেনই না প্রাথমিক সংসদের চেয়ারম্যান! অবাক অভিভাবকরা
এই ভোলা আসলে একটি ষাঁড়। পাড়ার মধ্যে ভোলা ছিল এক জনপ্রিয় পশু। সে কাউকে কখনও ক্ষতি করেনি কখনও। সে তার নিজের প্রজাতির মত বদমেজাজি ছিল না। বরং তার উপস্থিতি সবাইকে আনন্দিত করত। জানা গিয়েছে, স্থানীয় পশুপ্রেমী সংগঠন, সামাজিক কর্মী এবং চিকিৎসকরা সর্বাত্মক চেষ্টা সত্ত্বেও ভোলার জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকাবাসীরা নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ভোলাকে বাঁচানোর জন্য। তাকে খাঁড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল দমকল বাহিনীর সাহায্যে। গুরুতর আহত অবস্থায় ভোলার চিকিৎসা চলে। কিন্তু তার শরীরের অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। শেষ পর্যন্ত এদিন দুপুরে তার মৃত্যু হয়। যা পুরো এলাকাকেই শোকস্তব্ধ করে দেয়। ভোলার প্রতি সকলের ভালবাসা ও সম্পর্কের গভীরতা এমনভাবে ছিল, যা সহজে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়।
সুস্মিতা গোস্বামী