প্রত্যেক ছাত্রছাত্রী যেন পড়াশোনার পাশাপাশি হাতে-কলমে কাজ শিখে নিতে পারে, সেই লক্ষ্যেই এই কোর্সগুলি পরিচালিত হচ্ছে। যেখানে সেল্ফ মেকআপ, টেলারিং, সেলাই, কেক তৈরির মত প্রশিক্ষণ চলছে। এই সমস্ত প্রশিক্ষণ চলাকালীন ক্লাসরুমে ছাত্রীদের উপস্থিতি থাকছে চোখে পড়ার মত। অন্যদিকে সোলার প্রযুক্তি প্রশিক্ষণে ছাত্রদের সংখ্যাও খুব একটা কম নয়। মনোযোগ সহযোগে প্রশিক্ষকের যুক্তি দিয়ে বলা ব্যাখ্যাগুলো শুনছেন তারা। এমনকি কলেজের একটি প্রান্তে যেখানে মাশরুম চাষ হয়, সেখানেও সক্রিয়ভাবে শেখানো হচ্ছে এই কৃষিভিত্তিক উদ্যোগের কৌশল।
advertisement
আরও পড়ুন: অন্ধকার নামলেই ভয়ানক সব কাণ্ড…! ভাঙছে জানলার কাঁচ, শেষমেশ পরিষেবায় বন্ধ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে
এ বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মধুরা চট্টোপাধ্যায় জানান, “ছাত্রছাত্রীদের বেকারত্ব দূর করতে বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে দু’ধরণের কোর্স খোলা হয়েছে। একটি স্টুডেন্ট এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন অ্যান্ড ইন্ট্রোডাকশন সেল এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্লেসমেন্ট সেল। এই কোর্স চলাকালীন কলেজের তিন ধরনের সেমিস্টারের ছাত্রছাত্রীরা একইসঙ্গে থেকে কাজটা শিখে ফাইনাল সেমিস্টারের পর তারা যেন কর্মসংস্থানের সুযোগ পায় তার চেষ্টাই করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কলেজে এইসমস্ত অ্যাড-অন কোর্সের পাশাপাশি কলেজের ইন্ডোরে চলছে যোগব্যায়ামের প্রশিক্ষণ। তবে, শুধু শরীরচর্চা নয়, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মানসিক স্থিতি ও আত্মনিয়ন্ত্রণ তৈরির দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের মতে, মন ও শরীর উভয় সুস্থ না থাকলে কোন মানুষ দক্ষ নাগরিক হয়ে উঠতে পারে না। তাই সেসব কথা মাথায় রেখে এই ধরণের ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সুস্মিতা গোস্বামী