পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্র মারফত খবর আসে যে গভীর রাতে পিসি মিত্তাল বাস টার্মিনাস সংলগ্ন এলাকায় ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতী জড়ো হয়েছে। তাদের হাতে রয়েছে ধারালো অস্ত্র এবং কোনও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ছক কষা হচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হয়। খবর পেয়েই ভক্তিনগর থানার সাদা পোশাকের পুলিশ দল দ্রুত এলাকায় পৌঁছে যায়।
advertisement
অভিযান চলাকালীন আচমকা পুলিশকে দেখে দুষ্কৃতীরা চারদিকে ছুটোছুটি শুরু করে। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে কয়েকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পুলিশ ছয়জনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে একাধিক ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, যা দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শহরে বড়সড় কোনও অপরাধ ঘটানোর পরিকল্পনাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুনঃ নিত্য যানজট যন্ত্রণার অবসান! দুবরাজপুরে তৈরি হচ্ছে নতুন বাইপাস, বরাদ্দ প্রায় ২৫০ কোটি
গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের নাম নেপাল রাজবংশী, তাপস দাস, পরিমল রায়, এম ডি ইসমাইল, বাপ্পি মাহাতো ও সুব্রত সরকার। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের প্রত্যেকেরই অতীতে অপরাধমূলক যোগসূত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তারা কোনও নির্দিষ্ট চক্রের সঙ্গে যুক্ত কি না, তা নিয়েও তদন্ত চলছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, যেসব দুষ্কৃতী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে, তাদের খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং বিভিন্ন থানাকে সতর্ক করা হয়েছে। এই ঘটনার পর শনিবার ধৃত ছয়জনকে জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিশ রিমান্ড চেয়ে তাদের জেরা করে আরও তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী দল।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ বাস টার্মিনাস সংলগ্ন এলাকায় এমন অভিযানে পুলিশের সাফল্যে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীরা। পুলিশের এই সক্রিয়তায় স্পষ্ট, শিলিগুড়ি শহরে অপরাধ দমনে কোনও রকম ঢিলেমি রাখতে চাইছে না প্রশাসন।






