আরও পড়ুন: বড়দিনের আগের রাতে দার্জিলিংয়ে ভয়াবহ কাণ্ড! আগুনে পুড়ে গেল মানুষ-সহ গোটা বাড়ি
বৃদ্ধা গীতারানী শীল জানান, “এই দোকান ছাড়া রোজগারের আর কোনোও রাস্তা নেই। ফলে নিত্যদিন এই দোকান দিয়ে যা উপার্জন হয়। সেই দিয়েই চলে সংসার। কোনোও কোনোও দিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা রোজগার হয়। আবার কোনোও কোনোও দিন পরপর বেশ কিছু সেরকম কিছুই রোজগার হয় না। এই ভাবেই দীর্ঘ সময় ধরে নিজের দু’বেলা খাবারের যোগান করে আসছেন তিনি। একেবারেই সামান্য কিছু সরকারি ভাতা পান। তবে সেই ভাতা দিয়ে আদতে কিছুই হয় না। তাও আর্থিক সমস্যা মেটাতে এই দোকান তাঁর একমাত্র ভরসা।”
advertisement
আরও পড়ুন: চা-কে স্বাস্থ্যকর পানীয়ের তকমা! আমেরিকার স্বীকৃতিতে খুশি উত্তরের চা শিল্প
তিনি আরোও জানান, “সারাদিনে বহু মানুষ তাঁর দোকানে আসেন। বহু মানুষ তাঁকে জিজ্ঞেস করেন কেন তিনি দোকান করেন। সকলকে তিনি হাসি মুখে একটাই উত্তর দিয়ে থাকেন। পেট চালাতে এই দোকান। ছাড়া আর তো কিছু নেই।” এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা অমল কুমার সাহা জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে এখানে বৃদ্ধা এই মহিলা দোকান করেন । তবে আবহাওয়া বেশি খারাপ থাকলে তিনি আসতে পারেন না। তিনি মূলত টোটো করেই আসেন দোকান করতে। হেঁটে বাড়ি থেকে এতদূর আসতে পারেন না তিনি।”
আরও পড়ুন: অচলাবস্থা কাটেনি বক্সায়! পর্যটকদের থাকতে হবে অন্যত্র! আপনার বুকিং নেই তো?
দীর্ঘ সময় ধরে এই মহিলা যে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে চলেছেন। সেই বিষয়টি অনেকেই প্রশংসা করেন। তবে আগামী দিনে যদি বৃদ্ধা মহিলার কাছে সরকারি কিংবা বেসরকারি সাহায্য এসে পৌঁছত। তাহলে তাঁর অনেকটাই উপকার হত। তবে এই মহিলার রোজগার জীবনের এই সংগ্রাম কিছুটা হলেই কমে আসতো বললেই মনে করছেন বহু মানুষ।
Sarthak Pandit