আরও পড়ুন- ট্যাক্সি চালকের সঙ্গে রাত কাটাল মেয়ে, বিয়ের আগের রাতে বাবা করল এমন এক কাজ…শুনে হতবাক সবাই!
জলপাইগুড়ির কাশিয়াবাড়ির বাসিন্দা লক্ষ্মী সরকার প্রতিদিন ভোরবেলা ট্রেনে চেপে জলপাইগুড়ি শহরে আসেন। তার পর করলা নদীর বুকে নেমে শুরু হয় সংগ্রহের কাজ। নদীর নরম কাদায় পা ডুবিয়ে তিনি শামুক, ঝিনুক, গুগলি এবং ছোট নদীয়ালী মাছ খুঁজে বের করেন। তারপর সেই সংগ্রহ নিয়ে চলে যান শিলিগুড়ির আমবাড়ি বা ফালাকাটা বাজারে, যেখানে এগুলো বিক্রি করেই সংসার চলে তাঁর।
advertisement
কাঠফাটা গরমের পরে রেহাই…! বৃষ্টি নামবে কোন কোন জেলায়? জেনে নিন আগামী সপ্তাহের আবহাওয়ার পূর্বাভাস
ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরেই স্ত্রী বললেন, ‘শোনো…’! শুনে বিকৃত স্বামীর মুখ, তোলাপাড় এলাকা, এর পর যা হল!
\”কঠিন তো বটেই, কিন্তু এই নদীই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে,\” ক্লান্ত কণ্ঠে বলেন লক্ষ্মী দেবী। \”বৃদ্ধ ভাতা পাই না, সরকারি সাহায্যও তেমন মেলে না। তাই এই নদীর জলেই বেঁচে থাকার রসদ খুঁজি প্রতিদিন।\” প্রতি কেজি ঝিনুক-শামুক বিক্রি করে মাত্র ৫০-৬০ টাকা পান তিনি। এত কম আয়েও হাল ছাড়েননি। কারণ এটাই তাঁর একমাত্র জীবিকা।
দীর্ঘ ২০ বছরের বেশি সময় ধরে এই নদীই তার জীবনের অবলম্বন। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, কেন এখনও সরকারি সুযোগ-সুবিধা তার কাছে পৌঁছায়নি? বয়সের ভার, দারিদ্র্য ও কঠিন সংগ্রামের মাঝেও লক্ষ্মী দেবীর অদম্য মনোবল অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। সমাজ কি এই সংগ্রামী মহিলার পাশে দাঁড়াবে? প্রশ্ন রয়ে যায়।
সুরজিৎ দে