এই ভেষজ আবির তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ করছেন চোপড়ার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরা। প্রায় চার বছর ধরে তাঁরা আবির তৈরি করে বিক্রি করছেন। সেই আবির পাওয়া যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বাজারে। এই বছর ভেষজ আবিরের চাহিদা গতবারের থেকে অনেকটাই বেশি। ফলে এবার পরিমাণে অনেক বেশি আবির তৈরি হচ্ছে। এই ভেষজ আবির তৈরির কাজ করা অঞ্জলী বোস দাস বলেন, উত্তর দিনাজপুর জেলা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ভেষজ আবির বানানোর কাজ শিখেছি আমরা। ফল, ফুল, পাতা ব্যবহার করে ভেষজ আবির বানানো হচ্ছে। এই আবির ব্যবহারে চামড়া, চোখ বা শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না। এই বছর চাহিদা অনেকটা বেড়েছে। ফলে এই আবির তৈরি করে আমরা দুটো পয়সার মুখ দেখতে পারছি।
advertisement
আরও পড়ুন: যানজট সমস্যা দূর করতে বুলডোজার দিয়ে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলল কান্দি পুরসভা
চোপড়ার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ভেষজ আবির তৈরি করতে দেখে এগিয়ে এসেছে অন্যান্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। তাঁদের দেখাদেখি ধীরে ধীরে জেলার অন্যান্যরাও এই কাজ শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে দোলের আগে গ্রামের মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার ক্ষেত্রে বড় অবদান রাখছে এই ভেষজ আবির।
মৃন্ময় বসাক