গত এক মাস ধরে বাড়ির অভিভাবক, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্য নিয়ে মডেলগুলির প্রস্তুতি চলেছে। প্লাস্টিকের বোতল, কাঠের পাটাতন, বাতিল কারেন্ট ওয়্যারের মতো চেনা উপকরণ দিয়ে বানানো এই মডেলগুলিতে ফুটে উঠেছে কৌতূহল, শ্রম আর কল্পনা। যেন ছোট ছোট হাতগুলো ভবিষ্যতের বিজ্ঞানসমাজের ভিত্তি লিখছে।
advertisement
প্রদর্শনীতে উপস্থিত অতিথিরা বললেন, বিজ্ঞান মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতঃপ্রতভাবে জড়িয়ে। পরিবেশ, শক্তি, জলের ব্যবহার থেকে শুরু করে দৈনন্দিন প্রয়োজন, সবকিছুর মধ্যেই বিজ্ঞান কাজ করে। সেই ভাবনাটাই ছাত্রদের সামনে সহজ ভাষায় তুলে ধরতে চেয়েছেন তাঁরা।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাঞ্চন দাস বলেন, “বেসরকারি স্কুলের ছাত্ররা নিয়ম কানুন মেনে উন্নত শিক্ষা পেলেও সরকারি স্কুলে সাধারণ গরিব পরিবারের বাচ্চারা পড়ে। তবু আমরা তাঁদের যতটা সম্ভব ভাল শিক্ষা দিতে চাই। বিজ্ঞান কীভাবে জীবনের সঙ্গে মিশে আছে, এটাই বুঝিয়ে দিতে এই প্রদর্শনী।”
এই ধরনের প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে খুশিতে ডগমগ করছে ছাত্ররা। এক ছাত্র সাহেব মোদক জানান, “প্রথমবার এমন করে বিজ্ঞান নিয়ে ভাবলাম। এত কিছু বানিয়ে খুব আনন্দ হয়েছে। আগামীতে এগুলো অনেক কাজে লাগবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নেতাজি বয়েজ প্রাইমারি স্কুলের বিজ্ঞান ও হস্তশিল্প প্রদর্শনী শুধু মডেল বানানোর প্রতিযোগিতা নয়, এ ছিল সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের সম্ভাবনা, কল্পনা আর সৃজনশীলতার এক নিঃশব্দ ঘোষণা। সীমিত পরিকাঠামো, সীমিত সুযোগের মধ্যেও কেমন করে শিশুদের কৌতূহলকে বড় করে তোলা যায়, তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করল এই আয়োজন। খুদে হাতের তৈরি মডেলগুলো যেন প্রমাণ করে দিল, সুযোগ পেলেই তাঁরা উড়তে পারে। বিজ্ঞান যে আনন্দের, বিজ্ঞান যে জীবনের, এই সহজ সত্যটিই তাঁরা নিজেরা বানানো প্রতিটি প্রকল্পে নতুন করে মনে করিয়ে দিল।





