স্থানীয় এক গ্রাহক জানান, “দিনের পর দিন কষ্ট করে উপার্জন করা টাকা ওই পোস্ট অফিসে জমা রাখতেন তাঁরা। তবে সেই টাকার পুরো অংশ তাঁদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েনি।” আরও এক গ্রাহক সুজিত রাজভর জানান, “তিনি গত বছর ডিসেম্বরে বাড়ি বিক্রি করে ৫ লক্ষ টাকা পোস্ট অফিসে ফিক্সড ডিপজিট করেন। সে সময় জনৈক পোস্টমাস্টার তাঁকে একটি সাদা কাগজে টাকার পরিমাণ লিখে সিল এবং সই করে দেন। তবে এদিন দেওয়ানহাট পোস্ট অফিসে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তাঁর নামে শুধুমাত্র দেড় লক্ষ টাকা জমা রয়েছে।”
advertisement
এলাকার আরেকজন স্থানীয় গ্রাহক কালু চন্দ জানান, “তিনি ও তাঁর স্ত্রী অনিতা চন্দর নামে দু’টি পাশ বই আছে। প্রতি মাসে তাঁরা তাতে আলাদাভাবে তিন হাজার টাকা করে জমা দিয়েন। সেই অঙ্ক জনৈক পোস্টমাস্টার হাতে লিখে দিতেন। এদিন তিনি হিসাব মেলাতে গিয়ে দেখেন দু’জনের পাশ বইয়ের মধ্যে ১৫ হাজার টাকা করে কম রয়েছে।” আরও দু’জন গ্রাহক নির্মল গোস্বামীর দু’লক্ষ টাকা এবং কালি দাসের ৩৫ হাজার টাকা তছরুপ হয়েছে।
ঘটনায় ডাক বিভাগের কোচবিহার ডিভিশনের সুপারিনটেনডেন্ট অজয় শেরপা জানান, “ওই পোস্ট অফিস নিয়ে তাঁদের কাছে আগে কোনও অভিযোগ আসেনি। বর্তমানে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা প্রমাণিত হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া উপযুক্ত প্রমাণ থাকলে গ্রাহকদের টাকা ফেরত পেতে কোনও সমস্যা হবে না।” তবে জনৈক অভিযুক্ত ওই পোস্টমাস্টার এই অভিযোগ নিয়ে কোনও প্রকার মন্তব্য করতে চাননি। এই আর্থিক তছরুপের ঘটনায় এখনোও পর্যন্ত প্রায় ২০০ গ্রাহক আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তুলেছেন। গোটা ঘটনায় প্রায় ১ কোটি টাকা তছরুপের হিসাব উঠে এসেছে।
Sarthak Pandit






