১৩২৫-এর আশ্বিন, ১৯১৮-য় প্রকাশিত হয় শান্তিনিকেতন প্রেসে মুদ্রিত প্রথম বই, রবীন্দ্রনাথের গানের দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের করা স্বরলিপি-সহ সংকলন গীত-পঞ্চাশিকা। এরপরে বহু ঘটনার সাক্ষী এই ছাপাখানা। তবে ২০১৯ সালে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সাতটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে ছাপাখানা বন্ধ করতে বলে। তাই শতাব্দী প্রাচীন বিশ্বভারতীর ছাপাখানাও বন্ধ হয়ে যায়। তবে থেকে আজও বন্ধ রয়েছে এই ছাপাখানা।
advertisement
জানা যায় সেই সময় ,ছাপাখানা বিভাগে ম্যানেজার-সহ মোট ৩৯ জন কর্মী ছিলেন। এরপরে ছ’বছর কেটে গিয়েছে। বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, লিঙ্কনের বাসিন্দাদের দেওয়া মুদ্রণযন্ত্রটি উত্তরায়ণে কোণার্ক বাড়ির বারান্দায় প্রদর্শনীর অঙ্গ হিসেবে রাখা হয়েছে। কিন্তু ছাপাখানার ভবনটি জীর্ণ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, বাড়িটির বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরতে শুরু করেছে।
ছাপাখানার ভিতরে থাকা মুদ্রণযন্ত্র ও বই বাঁধানোর জিনিসপত্র নষ্ট হতে বসেছে। কিছু মূল্যবান জিনিস নষ্টও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ বলেন, “বিশ্বভারতীর প্রেস বন্ধ হলেও আমাদের প্রকাশনা বন্ধ হয়নি। তবে এই ছাপাখানাটি কী করা যায় সে বিষেয়ও আগামিদিনে ভাবনাচিন্তা করা হবে।”সব মিলিয়ে সকলেই চাইছেন অন্ততপক্ষে ছাপাখানাটি আবার নিজের ছন্দে ফিরে আসুক।
Souvik Roy





