অবসর প্রাপ্ত আবগারি কর্মী গোপাল চন্দ্র সরকার জানান, “অবসর নেওয়ার পর কাজ বলতে সেরকম আর কিছুই থাকে না। তাইতো সেই সময় একাকীত্ব এবং অবসাদ গ্রাস করতে থাকে মানুষকে। সেই জায়গা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে এই গাছের প্রতি ভালবাসা। রংবেরঙের রকমারি এই পেপার ফুলের গাছ দীর্ঘ সময় ধরে তিনি বাড়ির ছাদে চাষ করেছেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে এই কাজগুলিকে সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছেন তিনি। কিছু গাছ তিনি এনেছেন বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়ি থেকে। আবার কিছু গাছ তিনি নিয়ে এসেছেন অনলাইন থেকে।”
advertisement
আরও পড়ুন: রোজ গ্যাসের ওষুধ খাওয়া ছাড়ুন! চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন এই মশলা! দূর হবে জটিল রোগ
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনি আরও জানান, “এই গাছগুলি চাষ করা একেবারেই সহজ। এছাড়াও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেও এই গাছগুলির চাষ আবাদ করা যায়। এই গাছগুলিকে পর্যাপ্ত পরিমাণে সার ও ভাল মাটি দিলে সঠিকভাবে ফুল দিতে শুরু করে। তবে জলের পরিমাণ দিতে হয় একেবারেই নির্দিষ্ট ভাবে। না হলে গাছ মরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে সারা মাসে গাছগুলোর পেছনে আনুমানিক ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার বেশি খরচ হয় না। এছাড়া গাছগুলির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেকটাই মুগ্ধ করে মানুষকে। তাইতো এই গাছগুলি তিনি বেছে নিয়েছেন অবসর জীবনের একাকীত্ব ও অবসাদ কাটাতে।”
আরও পড়ুন: জেলা শহরের অন্যতম বৃহৎ এই দিঘি সেজে উঠছে নতুন বছরে! আকর্ষণ বাড়ছে পর্যটকদের
বর্তমান মাথাভাঙা মহকুমা এলাকায় এই ব্যক্তির বাড়ি বেশ অনেকটাই প্রসিদ্ধ। বহু মানুষ তাঁর বাড়িতে আসেন তাঁর এই ছাদ বাগান দেখতে। আবার অনেক সময় অনেক মানুষ রাস্তা থেকে তাকিয়ে থাকেন তাঁর ছাদের দিকে। এই ফুলগুলির অপরূপ সৌন্দর্য যেকোনও মানুষকে মুগ্ধ করতে পারে মুহূর্তে।
Sarthak Pandit





