বন বিভাগের উদ্যোগে এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় রেড পান্ডার শুমারি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। দুর্গম পাহাড়ি রাস্তায় পাহাড়ের ওই দুই অভয়ারণ্যে প্রায় ৭০০ ফুট উচ্চতা থেকে শুরু করে ১১ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত ঘন জঙ্গলে ট্রেকিং করে শুমারি করা হবে। গত শুমারির তুলনায় এবছর রেড পান্ডার সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আশাবাদী আধিকারিকরা। কারণ দার্জিলিংয়ের তোপকেদাঁড়ায় কৃত্রিম উপায়ে রেডপান্ডা প্রজনন কেন্দ্র ও দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় চলতি বছরে বেশ কয়েকটি রেড পান্ডার জন্ম হয়েছে।
advertisement
এই বিষয়ে উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি বলেন, “ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে রেডপান্ডা শুমারির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেইমতো প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। ডিরেক্ট সাইটিং বা সরাসরি দেখে ও রেডপান্ডার মল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। সেই নমুনা ডিএনএ টেস্টের জন্য হায়দেরাবাদের গবেষণাগারে পাঠানো হবে। তারপরই শুমারির রিপোর্ট তৈরি করা হবে।” জানা গিয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন নেচার ইতিমধ্যেই রেডপান্ডাকে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির তালিকাভুক্ত প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ২০১৯ সালের শুমারি অনুযায়ি সিঙ্গালিলা জাতীয় অভয়ারণ্যে ৩৮ টি ও ন্যাওড়াভ্যালি অভয়ারণ্যে ৩২ টির মতো রেডপান্ডা ছিল।
আরও পড়ুন: ছট পুজোর দিন ঠাকুরের ভোগে দিন কাসার! জানুন রেসিপি
২০২৩ – ২০২৪ সালেই দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিকাল পার্ক বা দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় ছয়টি রেডপান্ডা শাবকের জন্ম হয়েছে। গত তিন বছরে ছয়টি রেডপান্ডা দম্পতিকে সিঙ্গালিলা অভয়ারণ্যে রেডিও কলার পরিয়ে মুক্ত করা হয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে টানা এই শুমারি চলবে বলে জানা গিয়েছে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের দশ হাজার ফুট উচ্চতারও বেশি উচ্চতায় থাকা রাচেলাডান্ডা ও হাতিডান্ডায় রেডপান্ডার শুমারি করা হবে। শুমারির পাশাপাশি রেডপান্ডার বাসস্থান ও খাওয়াদাওয়ায় কোন অসুবিধা কিংবা তাদের বাসস্থানে কোন প্রভাব পরছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।
সুজয় ঘোষ