প্রচণ্ড দাবদাহে নাজেহাল বন্যপ্রাণীরা। কোচবিহারের রসিকবিল মিনি জু-র চিতাবাঘ সুলতান, শাহজাদা, রিমঝিম এবং গরিমারও সেই তালিকায় নাম রয়েছে। যাদের গর্জনে কাঁপে চিড়িয়াখানা। তারাও এখন গরমে ঘেমেনেয়ে একশা। তাই এবার তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় নেমেছে জু কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বাংলায় তৈরি অসমের এই শাড়ির লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চাহিদা, ইনকামের নতুন পথ খুঁজে পেলেন তাঁতশিল্পীরা
advertisement
চিতাবাঘদের খাঁচার সামনে বসানো হয়েছে ফ্যান, যাতে তাদের শরীরের উত্তাপ কিছুটা কমানো যায়। প্রতিদিন দু থেকে তিনবার ঠান্ডা জলে স্নান করানো হচ্ছে। যাতে গরমের দাপট থেকে খানিকটা রেহাই মেলে। পরিবর্তন এসেছে খাবারের মেনুতেও—হালকা মাংস, ওআরএস ও ফলমূল রাখা হয়েছে ডায়েট চার্টে। শুধু চিতাবাঘই নয়, অন্যান্য পশুপাখিদের সুরক্ষায় নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। ম্যাকাও, টিয়া, ময়না, গোল্ডেন ফ্রিজেন্ট, সিলভার ফ্রিজেন্টদের খাবারে বাদাম ও বীজের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে রসালো ফল—তরমুজ, শশা। হরিণদের জন্য ছাউনি তৈরি করা হয়েছে খড় দিয়ে, তৈরি হয়েছে জলাশয়ও, যাতে ডুব দিয়ে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে তারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই বিষয়ে এডিএফও বিজন কুমার নাথ জানান, “বন্যপ্রাণীদের সুস্থ রাখতেই পশু চিকিৎসকদের পরামর্শে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। গরমে যাতে তাদের কোনরকম শারীরিক সমস্যা না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছে বন দফতর।” রসিকবিল জু সূত্রে খবর, খাবারের মান ও পরিবেশ-পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন চিকিৎসকরা। খাঁচার জল পাল্টানো হচ্ছে নিয়মিত।
Annanya Dey