রাস চক্রের নির্মাতা আমিনুর হোসেন জানান, “কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিনে নিরামিষ খাবার খেয়ে নিষ্ঠা সহকারে সূচনা করা হয় রাস চক্র নির্মাণের। একটানা একমাসের ধারাবাহিক কাজের মাধ্যমে তৈরি হয় এই রাস চক্র। বাঁশের কাঠি, পাটের দড়ি, আঠা, কাগজ ও রঙ ব্যবহার করে তৈরি হয় এই রাস চক্র। রাস চক্র স্থাপনের পর রাস চক্রের মধ্যে লাগানো হয় দেবতাদের ছবি। এছাড়াও রাস চক্রে লাগানো হয় কাগজের মধ্যে তৈরি করা বিভিন্ন ধরনের নকশা। রাস পূর্ণিমার দিনে সকাল থেকে শুরু করে দুপুরের মধ্যে রাস চক্র স্থাপন করা সম্পন্ন হয় মদন মোহন বাড়িতে। রাস চক্র স্থাপনের পর পুজো করা হয় রাস চক্রের।”
advertisement
আরও পড়ুন: শীতের এই ফলে শুধু নয়, খোসাতে কুপোকাত ডায়াবেটিস, জব্দ ব্লাডসুগার! মন্ত্রের মত কাজ দেবে
তিনি আরও জানান, “রাস মেলার জন্যই এই রাস চক্র স্থাপন করা হয়। রাস মেলার শেষে আবারও এই রাস চক্র খুলে রাখা হয় পরের বছরের জন্য। প্রতিবছর নতুন করে রাস চক্রের বাইরের আবরণ নির্মাণ করা হয় নতুন ভাবে।” দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল ধারা জানান, “কোচবিহারের রাজ আমল থেকে এই নিয়ম মেনেই তৈরি করা হচ্ছে রাস চক্র। দীর্ঘ সময় ধরে রাস পূর্ণিমার দিন রাস চক্র স্থাপনের পর বহু ভক্তরা এই চক্র ঘুরিয়ে পূণ্য অর্জন করে থাকেন। দূর-দূরান্তের মানুষেরা এই রাস চক্র দেখতে ছুটে আসেন মদন মোহন বাড়ি মন্দিরে।”
আরও পড়ুন: অল্প পুঁজিতেই ‘মালামাল’…! এই ব্যবসাতেই আয় হবে মোটা টাকা, দিন কয়েকেই ফুলে ফেঁপে উঠবে সংসার
বর্তমান সময়ে এই রাস চক্র নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। একেবারে শেষ মুহূর্তের কাজ করা হচ্ছে রাস চক্রের। আগামী ১৫ নভেম্বর রাস চক্র স্থাপন করা হবে মদন মোহন বাড়ি মন্দিরে।
Sarthak Pandit