এখানেই বিশ্বকবি এসেছিলেন চার বার। ১৯৩৮ থেকে ১৯৪০-এর মধ্যে চার বার পা ফেলেছিলেন এই কবিতীর্থে। এখানে বসেই তিনি লিখেছিলেন "জন্মদিন" কবিতাটি। যা আকাশবাণীর মাধ্যমে সম্প্রসারিত হয়েছিল গোটা দেশে। ওই সময়ে প্রথম টেলিফোন পরিষেবা চালু হয়েছিল কালিম্পংয়ে।
পরবর্তীতে এই গৌরীপুরেই তিনি লিখেছিলেন "কালিম্পং" কবিতাটি। যা কালিম্পং শহরকে নিয়েই। কবিগুরুর ১৬২ তম জন্মদিন যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করে কালিম্পংয়ের মিলনী ক্লাব। অংশ নেয় স্কুল পড়ুয়ারা।
advertisement
আরও পড়ুন : বারাণসীর মতো গঙ্গারতি রোজ এ বার দেখা যাবে রাজ্যের এই জেলাতেও
"জন্মদিন" এবং "কালিম্পং" কবিতা দুটি শোনানো হয় পড়ুয়াদের সামনে। স্কুল পড়ুয়ারাও রবীন্দ্রনৃত্য পরিবেশন করেন। পর্যটকদের কবিতীর্থমুখী করার আহ্বান জানান তারা। সেইসঙ্গে হেরিটেজ গৌরীপুর সংস্কারেরও দাবি উঠেছে। কেননা বিল্ডিংয়ের বর্তমান অবস্থা জীর্ণ দশা। রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের নজরেও রয়েছে। দ্রুত সংস্কারের আর্জি রবীন্দ্রপ্রেমীদের।
রবীন্দ্রস্মৃতি বিজড়িত দার্জিলিংয়ের মংপুতেও কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী পালিত হল। তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মাল্যদান করেন দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম। ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রী, পাহাড়ের বিশিষ্টজনেরা। নাচে, গানে রবীন্দ্রস্মরণ পালিত হয়।
আরও পড়ুন : মার্বেলের মেঝে, আলোর কারুকার্য! তৈরি হচ্ছে ভুবন বাদ্যকরের নতুন বাড়ি
আরও পড়ুন : সাবধান! এই জেলায় বাসে উঠলেই মহিলা পকেটমার, কেপমারদের কবলে পড়তে পারেন!
এদিন জেলাশাসক জানান, ‘‘মংপুর রবীন্দ্র ভবনের সংস্কার শেষ পর্যায়ে। পর্যটকদের থাকবার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। হোটেলও থাকছে। জুনের মধ্যেই তা সম্পন্ন হবে। এখানেই রয়েছে রবীন্দ্র সংগ্রহশালা। তাও ঢেলে সাজানো হচ্ছে।’’ অন্যদিকে পুরসভার উদ্যোগে শিলিগুড়িতেও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালিত হচ্ছে বিশ্বকবির জন্মদিবস। বাঘাযতীন পার্কে রবীন্দ্র মূর্তিতে মাল্যদান করেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তী সহ অন্য কাউন্সিলররা। পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে শ্রদ্ধা জানান দুই বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, শিখা চট্টোপাধ্যায়ও। রবীন্দ্র নৃত্য পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা।