একটা সময় এই মেলার ও মদনমোহন বাড়ি মন্দিরের দায়িত্ব ভার সামলাতেন রাজারা। তবে বর্তমানে এই মেলার ও মদনমোহন বাড়ি মন্দিরের দায়িত্ব পালন করেন দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের কর্মকর্তারা। দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল ধারা জানান, “ইতিমধ্যেই মদন মোহন বাড়ি মন্দিরকে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু করা হয়েছে। মেলার আগেই দ্রুত সমস্ত কাজ সম্পন্ন করা হবে। মেলা উপলক্ষে বহু ভক্তরা মন্দিরে এসে থাকেন। তাই মন্দিরের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে সম্পূর্ণ ভাবে। এছাড়া মন্দিরের রঙ ও সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে বেশ কিছু জায়গায়।”
advertisement
আরও পড়ুন: বিশেষ ভাবে সক্ষম, দুর্দান্ত ট্যালেন্ট, যুবকের প্রতিভায় মুগ্ধ সকলে, জানেন কী করেন?
তিনি আরও জানান, “দীর্ঘ প্রাচীন এই মেলাকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। সবচেয়ে বড় আবেগের বিষয় রাস মেলার রাস চক্র। প্রাচীন সমস্ত নিয়ম-রীতি পালন করা হচ্ছে প্রথা মেনে। এছাড়া মদন বাড়ির পুতনা রাক্ষসী তৈরির কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে।” মদন মোহন বাড়ি মন্দিরের প্রতিমা নির্মাণের কারিগর সৌভিক পাল জানান, “মদন মোহন বাড়ি মন্দিরের চারিপাশে বেশকিছু ঘর করা রয়েছে। যেখানে বেশকিছু প্রতিমা বসানো হয় মেলার সময়। যেই প্রতিমাগুলির মাধ্যমে শ্রী কৃষ্ণের লীলা খেলার বিষয়গুলি দেখানো হয় সকলকে।”
আরও পড়ুন: অল্প সময়ে সহজেই মোটা টাকা আয় ! দেখে নিন কী করে সম্ভব
প্রাচীন এই রাস মেলায় অদ্ভুত সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তোলা মদন মোহন বাড়ি মন্দিরকে। মেলায় এই মন্দিরে মঞ্চ তৈরি করে পালা গান আয়োজনের করা হয়। জেলার পাশাপশি, দেশের ও বিদেশি বহু মানুষেরাও এই মেলায় ভিড় জমিয়ে থাকেন। তাই এই মেলার গুরুত্ব অনেকটাই রয়েছে জেলা কোচবিহারের মধ্যে। আসন্ন ১৫ নভেম্বর রাস পূর্ণিমার দিনে শুভ সূচনা করা হবে জেলা কোচবিহারের রাস মেলার।
Sarthak Pandit