আরও পড়ুন: চৈত্র সেলে বিক্রি হচ্ছে এটাও! বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রমরমিয়ে চলছে বেচাকেনা
এই সময় মাঠ থেকে নতুন আলু তোলেন কৃষকরা। ফলে বাজারে আলুর দাম অন্যান্য বছর চৈত্র মাসে যথেষ্ট কম থাকে। কিন্তু এবার খুচরো বাজারেই আলুর দাম কেজি প্রতি ২৩-২৪ টাকা ছুঁয়ে ফেলেছে। তবে এই ঘটনায় হাসি ফুটেছে আলু চাষিদের মুখে। বহু কৃষক জানিয়েছেন চৈত্র মাসে আলুর এতটা দাম পাবেন তা ভাবতে পারেননি। ফলে এবার চাষ করে একটু ভাল লাভের আশা করছেন তাঁরা।
advertisement
গত মরশুমে কৃষকেরা ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা কুইন্টাল দরে আলু বিক্রি করেছিলেন পাইকারি বাজারে। এই বছর সেই আলুর দামই এখন পর্যন্ত বাজারে ১১৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা কুইন্টাল। ফলে লাভ অনেকটাই বেড়েছে। এই সুযোগ হাতছাড়া করতে না চেয়ে অনেক কৃষক তড়িঘড়ি জমি থেকে আলু তুলে বাজারে বিক্রি করছেন। ভাল দাম থাকায় মালদহ জেলার আলু চাষিরা আলু জমি থেকে তুলে নিচ্ছেন। কারণ তাঁদের ভয়, এখন যে দরে আলু বিক্রি হচ্ছে, সময় গড়ানোর সঙ্গে সেই দর নেমে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে লাভের সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাবে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
মূলত মালদহ জেলার পুরাতন মালদহ ব্লকের ভাবুক এবং মহিষবাথানি এই দুই পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন হয়েছে। এছাড়াও গাজোল, বামনগোলা ও হবিবপুর ব্লকে আলু চাষ হয়। এখানকার আলু বাইরের রফতানিও হয়। পুরাতন মালদহ ব্লকেই গড়ে উঠেছে আলু মজুতের আটটি হিমঘর৷ ইতিমধ্যে সেসব হিমঘরে বন্ড বিলি হয়ে গিয়েছে৷ আগামী ১০ মার্চ থেকে হিমঘরে আলু সংরক্ষণ করতে পারবেন চাষিরা। কিন্তু বাজারে পাইকারি দর ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আলু চাষিরা। দ্রুত বাজারজাত করতে আলু তোলার কাজ জোর কদমে চলছে। পুরাতন মালদহের একাধিক হাটে পাইকারি মূল্যে এখন আলু বিক্রির হিড়িক পড়ে গিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আলু ব্যবসায়ীরা এখানে এসে আলু কিনছেন। দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকেরা হিমঘরে আলু মজুত করার দিকেই বেশি ঝুঁকছেন।
হরষিত সিংহ