শহরাঞ্চলে বিশেষ ‘মাইক্রো ডেলিভারি’ পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে তারা।জলপাইগুড়ি হেড পোস্টঅফিস পরিদর্শনে এসে উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের ভারপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার জেনারেল রাজু গঙ্গোপাধ্যায় জানান, “চিঠিপত্র সময়মতো পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি পার্সেল পরিষেবাতেও জোর দিচ্ছি আমরা। পুজোর প্রসাদ হোক বা জন্মদিনের কেক–মিষ্টি, ডাকবিভাগ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে দেবে।”
advertisement
পরিকল্পনা অনুযায়ী, যে কেউ দুপুর ১২টার মধ্যে পার্সেল বুকিং করলে বিকেলের মধ্যে তা পৌঁছে যাবে নির্দিষ্ট ঠিকানায়। তবে পরিষেবা আপাতত শুধুমাত্র শহরাঞ্চলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। কারণ দ্রুত ডেলিভারি না হলে খাবার নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।ডাকবিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, মাইক্রো ডেলিভারির জন্য একটি বিশেষ টিম গঠন করা হবে এবং প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গুছিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
বুকিংয়ের পাশাপাশি চাইলে গ্রাহকের বাড়ি গিয়েও পার্সেল সংগ্রহ করবে কর্মীরা। তবে পরিষেবা চালুর নির্দিষ্ট দিনক্ষণ এখনও জানানো সম্ভব হয়নি। পোস্টমাস্টার জেনারেল বলেন, “আমাদের পরিকাঠামো চাঙ্গা হলেই এই অভিনব উদ্যোগ শুরু হবে।” অন্যদিকে, ডাকবিভাগের এই নতুন ভাবনা নিঃসন্দেহে শহরবাসীর কাছে বাড়তি স্বস্তি নিয়ে আসবে। পুজো হোক বা পারিবারিক আনন্দের মুহূর্ত, দূরত্ব আর বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।