এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা আজগর আলী জানান, “দীর্ঘ সময় আগে তৈরি হওয়া এই সেতুর বর্তমান সময়ে একেবারেই বেহাল দশা। সেতুর নিচের লোহা একেবারেই জং ধরে ক্ষয়ে গিয়েছে। ফলে ভারী যানবাহন সেতুতে উঠলে, সেতু রীতিমতো কাঁপতে শুরু করে। তাই স্থানীয় মানুষেরা ভারী যানবাহন খুব একটা উঠতে দেন না সেতুতে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গাড়ির চালকেরা রীতিমতো ঝগড়া করতে শুরু করে। তখন বাধ্য হয়েই তাঁদের যেতে দিতে হয়। তবে সেক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকে অনেকটাই বেশি। আচমকাই নদীর মাঝে সেতু ভেঙে গিয়ে বড় বিপদ হতে পারে।”
advertisement
আরও পড়ুন: চুল উঠে মাথা গড়ের মাঠ? ঘরোয়া টোটকাতেই লুকিয়ে সমাধান! কয়েক দিনেই টাকে গজাবে চুল!
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকার এক স্থানীয় ব্যবসায়ী রবীন্দ্র নন্দী জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে এই সেতুটির এমন দশা। তবে সেতু সংস্কারের বিষয় নিয়ে কোন প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।” তবে গোটা বিষয় নিয়ে টাকাগাছ-রাজারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রুমি বর্মন জানান, “সেতুর বিপদের বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। তবে অঞ্চলের কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। গোটা বিষয়টি নিয়ে তিনি জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। জেলা প্রশাসনের কর্তারা যাতে এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখেন।”
তবে এখনও পর্যন্ত প্রশাসনিক স্তরের কোনও কর্তার এই বিষয় নিয়ে কোনও প্রকার উদ্যোগ দেখতে পাওয়া যায়নি। যদি অদূর ভবিষ্যতে কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটে এই সেতু ভেঙে গিয়ে। তবে সেই দুর্ঘটনার দায়ভার কোন কর্তৃপক্ষের ওপর গিয়ে পড়বে? এই প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে এলাকার স্থানীয় মানুষেরা।
Sarthak Pandit





