প্রতিবছর শীতের মরশুমে বহু মানুষ ভিড় করছেন এই হিজল ফরেস্টে। শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ফরেস্ট। নিরিবিলি পরিবেশ, আশেপাশের জঙ্গল বিল দিয়ে ঘেরা আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষের কাছে।
আরও পড়ুন: বাংলার বিশেষ মিষ্টি লেউড়ি, সারা বছর নয় পাবেন শুধু মূলাষষ্ঠীর সময়
advertisement
মালদহ জেলার হবিবপুর ব্লকের শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের অবস্থিত এই হিজল বন। একেবারে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সিঙ্গাবাদ ও তিলাসন গ্রামের মাঝে অবস্থিত এই হিজল বন। বন দফতরের তথ্য অনুযায়ী এটি ভারতবর্ষের বৃহত্তম হিজল বন। বছরের অধিকাংশ সময় বিলের জলে ডুবে থাকে হিজল গাছ। ডিসেম্বর মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বিলে জল থাকে না।
সে সময়ই হিজল বনে ঘোরার উপযুক্ত সময়। প্রতিবছর শীতের মরশুমে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষ ভিড় করেন এই হিজল বনে। সৌমেন্দু রায় বলেন, নিরিবিলি মনোরম পরিবেশ। শীতের মৌসুমী এখানে পিকনিক করি। সুন্দর জায়গা, যদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে পরিকাঠামোর আরও উন্নতি করা হয় তাহলে এটি একটি পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।
মালদহ জেলা বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হিজল ফরেস্ট প্রায় ২৫০ হেক্টর জমির উপর অবস্থিত। এছাড়াও হবিবপুর ব্লক-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আরও হিজল ফরেষ্ট। মালদহ জেলায় প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে হিজল ফরেষ্ট রয়েছে।
তবে সিঙ্গাবাদের হিজল ফরেস্ট সবথেকে বৃহত্তম। হিজল ফরেস্ট কে ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র ও সেখানকার সৌন্দর্যায়ন করতে ইতিমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বন দফতর। হিজল ফরেস্ট কে ঘিরে উদ্যান ও থাকার ব্যবস্থা করার প্রাথমিক পর্যায়ের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা অসীম মন্ডল বলেন, শীতের মৌসুমে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন এখানে। পানীয় জল রাস্তা সমস্ত কিছুই পরিকাঠামো রয়েছে। সাধারণত পিকনিকের জন্য এখানে আসেন অনেকে।
ফরেস্টের আশপাশে চাষের জমি রয়েছে। আমন ধান কেটে নেওয়ায় সেই জমিগুলি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সাধারণ মানুষ সেই জমিগুলিতেই পিকনিক করেন। এছাড়াও ফরেস্টের কিছুটা অংশ অনেকটাই ফাঁকা। সেই জায়গাগুলোতেও সাধারণ মানুষ পিকনিক করেন। আশেপাশে রয়েছে জলের সুব্যবস্থা। পিকনিক করার জন্য একেবারে আদর্শ জায়গা। তাই জেলা ও জেলার বাইরের মানুষ ভিড় করছেন এই ফরেস্টে।
হরষিত সিংহ