বন্যপ্রাণ প্রেমী এবং দীর্ঘ সময় ধরে বন্যপ্রাণ উদ্ধারকারী হিসেবে কাজ করা এক অভিজ্ঞ ব্যক্তি অর্ধেন্দু বণিক জানান, “বেশিরভাগ মানুষ বাড়িতে পাখি পোষার ক্ষেত্রে যেই ভুলগুলি বেশি করে থাকেন। যেমন – টিয়া পাখি কিংবা ময়না পাখি পোষা। তফসিল ভুক্ত প্রজাতির পাখি পোষার ওপর আগ্রহ। এছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিদেশী পাখি পোষার সময় সঠিক কাগজ নিজেদের কাছে না রাখা। আর এর ফলেই জরিমানা দিতে হয় অথবা হাজতবাস করতে হয়। জরিমানা হয় ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। আর ৩ থেকে ৭ বছরের জেল হতে পারে।”
advertisement
আরও পড়ুন: ‘বয়স’ অনুযায়ী আপনার ‘ওজন’ কত হওয়া উচিত…? ‘কনফিউসড’ হবেন না! মিলিয়ে দেখুন ‘ওয়েট চার্ট’
তিনি আরও জানান, “ভারতীয় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন ১৯৭২ অনুযায়ী তফসিল প্রজাতিগুলিকে শিকার করা, ব্যবসা করা বা হত্যা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে কিছু পাখি বাড়িতে পোষা সম্ভব। যেমন – বদ্রি পাখি, জাভা, ফ্রিঞ্চ, বিদেশী মুনিয়া, লাভবার্ড। এছাড়াও ককাটু, সানকনুর, ম্যাকাও-য়ের মতন বিদেশী পাখি পোষা সম্ভব। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই পাখির ডিএনএ কার্ড তৈরি করে নিতে হবে। এবং পাখির নাম ও পাখির মালিকের পরিবেশ নামের একটি সরকারি ওয়েবসাইটে রেজিস্টার করতে হবে। তবেই আইনি কার্যাবলী থেকে মুক্ত থাকা যাবে।”
কোচবিহার ডিভিশনের সহ-বন অধিকর্তা বিজন কুমার নাথ জানান, “যাঁরা বাড়িতে পাখি পুষতে আগ্রহী রয়েছেন। তাঁরা অবশ্যই সমস্ত নিয়ম মেনে পাখির পুষবেন। না হলে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে বন দফতর।” তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষ এসমস্ত নিয়ম মানেন না। এবং বিপদের সম্মুখীন হয়ে পড়েন। তাই ভবিষ্যত দিনে সকল মানুষের উচিত বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের আইন মেনে পাখি বাড়িতে পোষা।
সার্থক পণ্ডিত