কলকাতায় অনুষ্ঠিত ‘ক্যারাটে মহোৎসব চ্যাম্পিয়নশিপ’-এ রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে মিলিয়ে প্রায় ৩০০ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। শিলিগুড়ি থেকে মোট সাতজন এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন এবং গর্বের বিষয়, সাতজনই পুরস্কার জিতে ফিরেছেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যেখানে চারটি সোনা, তিনটি রুপো ও একাধিক ব্রোঞ্জ জয় হয়েছে, সেখানেই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বিভাগে সোনার পদক এসেছে প্রাপ্তির ঝুলিতে।
advertisement
শিলিগুড়ির বাঘাযতীন বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্রী প্রাপ্তি গোস্বামী মাত্র এক বছর ধরে ক্যারাটের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। পড়াশোনার পাশাপাশি আঁকাতেও গভীর আগ্রহ। ছোট থেকেই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হলেও খেলাধুলার প্রতি তাঁর মনোযোগ ও মানসিক দৃঢ়তা সকলকে অনুপ্রাণিত করে।
প্রাপ্তির কথায়, “এই লড়াইটা আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। অনেক কিছু অন্যদের মতো দ্রুত শিখতে পারি না। কিন্তু আমি কখনও হাল ছাড়িনি। প্রতিদিন নিজেকে একটু একটু করে বদলানোর চেষ্টা করেছি।” মেয়ের এই দীর্ঘ লড়াইয়ের সাক্ষী মা পিয়ালী গোস্বামী। তিনি জানান, “প্রাপ্তির পথটা সহজ ছিল না। অনেক সময় ভেঙে পড়ত, কাঁদত। কিন্তু আমি সব সময় ওঁর পাশে ছিলাম। ও যখন সোনা জিতেছে, তখন মনে হয়েছে এই পরিশ্রম সার্থক।”
জানা গিয়েছে, এই প্রতিযোগিতায় ক্যারাটে অ্যাসোসিয়েশন অফ দার্জিলিং ডিস্ট্রিক্ট থেকে সাতজন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। এই প্রসঙ্গে অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সেন্সেই সুবীর সরকার বলেন, “প্যারা কাতা চ্যাম্পিয়নশিপে বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য আলাদা ক্যাটাগরি রাখা হয়। সাব-জুনিয়র বিভাগে প্রাপ্তি অংশগ্রহণ করে এবং সেখানেই সোনা জয় করে। এটি শুধু তাঁর ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, গোটা শিলিগুড়ির জন্য গর্বের বিষয়।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শারীরিক সীমাবদ্ধতা কখনও যে স্বপ্নের পথে বাধা হতে পারে না, প্রাপ্তি গোস্বামীর এই সাফল্য তারই জ্বলন্ত প্রমাণ। আজ সে শুধু একটি সোনা জেতেনি, জয় করেছে অসংখ্য মানুষের হৃদয়।





