তবে নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য কোন চাওয়া পাওয়ায় তাঁর নেই। আবাস যোজনা প্রকল্পের সুবিধা অনেককেই পাইয়ে দিয়েছেন গত কয়েক বছরে। তিনি পুরাতন মালদহ ব্লকের মুচিয়া পঞ্চায়েতের একজন নির্বাচিত সদস্য। একবার নয় পরপর দুইবারের জন্য তিনি ওই এলাকার জন্য পঞ্চায়েত সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
একবার আবাস যোজনা প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ঘর পাননি। তারপর আর আবেদন করেননি। এই ভাবেই ভাঙাচোরা বাড়িতেই দিন কাটাচ্ছেন পুরাতন মালদহের মুচিয়া পঞ্চায়েতের গোলাপট্টি পঞ্চায়েত সদস্য রেখা মহালদার। রেখা মহালদার বলেন, ‘‘আমি দুইবারের পঞ্চায়েত সদস্য। এর আগে আমার স্বামী ছিলেন পঞ্চায়েত সদস্য। দল থেকে কোনরকম সাহায্য পায়নি, তবুও দল করছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভাল লাগে। তাঁর অনুপ্রেরণাতে কাজ করে চলেছি।’’
advertisement
এর আগে তাঁর স্বামী পঞ্চায়েত সদস্য হয়েছিলেন, সেই সময়ও তিনি পরিবারের জন্য কিছুই করতে পারেননি। বর্তমানে পঞ্চায়েত সদস্য রেখা মহলদারের স্বামী সজল মহলদার কৃষিকাজ করেন। কৃষি কাজ করেই কোনক্রমে সংসার চালাচ্ছেন।
রেখা মহলদার গৃহবধূ, তবে বর্তমানে তিনি পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন।পুরাতন মালদা ব্লকের মুচিয়া পঞ্চায়েতটি বর্তমানে বিজেপির দখলে। গোলাপট্টি এলাকায় বাড়ি রয়েছে রেখা মহলদারের। টালি, টিন ও চাটাই দেওয়া ভাঙাচোরা বাড়িতেই কোনওরকম দিন কাটছে রেখাদেবীর পরিবারের।
রেখাদেবী উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পরেই বিয়ে হয়ে যায়। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী আদর্শে রাজনীতিতে সামিল হন বর্তমান তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য রেখা মহালদার। যদিও তাঁর স্বামী সজল মহালদার তৃণমূলের জন্ম লগ্ন থেকেই রাজনীতি করছেন। সজল মহলদার বলেন, মানুষের জন্য কাজ করে চলেছি আমরা। আমিও সদস্য ছিলাম। তবে ঘর পাইনি।
বিগত দিনে সজল মহলদারও তিনবারের তৃণমূল দলের মুচিয়া পঞ্চায়েতের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। কিন্তু এলাকার জন প্রতিনিধি হয়েও ভাগ্যে জোটেনি একটা পাকা ঘর । অথচ রেখা মহালদারের সহযোগিতায় একের পর এক অনেকেই পাকা ঘরে সুবিধা পেয়েছেন।
হরষিত সিংহ





