প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে এখনও নদী ও খালবিলে এই মাছ জন্মায়। পাঁকাল মাছে চর্বি থকে নামমাত্র৷ আর প্রোটিনের ভাঁড়ার৷ গুণমাণে ভাল এবং মায়োফাইব্রিলার প্রোটিনের অংশ অনেকটাই বেশি। অর্থাৎ, স্বাদের সঙ্গে পুষ্টিগুণও মেলে এই মাছে। আগে বাজারে প্রায়ই এই পাঁকাল মাছ চোখে পড়লেও এখন খুঁজলেও তেমন দেখা মেলে কি না সন্দেহ৷।
কোচবিহারের এক অভিজ্ঞ চিকিৎসক অম্লান দত্ত বলেন, “পাঁকাল মাছ মূলত এক ধরনের জিওল মাছ। এই মাছকে ইংরেজিতে মাড ফিস-ও বলা হয়ে থাকে। আবার গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষ এই মাছটিকে বাম মাছ বলেও চিনে থাকেন। এই মাছ পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই মাছে প্রচুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন E, ভিটামিন D, ফসফরাস, আয়োডিন, সেলেনিয়াম জাতীয় উপাদান।’’
advertisement
চিকিৎসক জানাচ্ছেন, নিয়মিত পাতে এই পাঁকাল মাছ রাখলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, চোখের অসুখ, হাত-পা ব্যথা, শরীরের দুর্বলতার মতো শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: এই শীতেও চড় চড় করে বাড়ছে ইলেকট্রিক বিল? ‘এই’ ভুলটা করছেন না তো! এখনই শুধরে নিন
প্রতি সপ্তাহে ৭০ থেকে ৭৫ গ্রাম এই মাছ খেলে হৃদপিণ্ড এবং মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন ভাল থাকে। মাছের তেলে থাকা ডকসা হেক্সোনিক অ্যাসিড এবং এলকোসা পেন্টাএনোইক অ্যাসিড বুদ্ধির বিকাশ ঘটায়।
তিনি আরও বলেন, “সপ্তাহে তিনদিন এই মাছ খেলে বাতের ব্যথা কমে। এই মাছ শরীরের রক্ত বাড়িয়ে তোলে। স্মৃতিশক্তি এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়ায়। এই মাছে ওমেগা-থ্রি নামের এক জাতীয় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যা হৃদযন্ত্রের ধমনীগুলিকে নমনীয় করে রাখতে সাহায্য করে। বাতের ব্যথায় হওয়া এবং জ্বরের উপশম কমাতে সাহায্য করে।’’
পাঁকাল মাছ বা বাম মাছে অতি প্রয়োজনীয় ডিএইচএ এবং ইপিএ থাকে যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী। নিয়মিত পাঁকাল মাছ বা বাম মাছ খেলে মস্তিষ্কে ডিএইচএ-র পরিমাণ বাড়ে। স্মৃতিশক্তি অক্ষুণ্ণ থাকে।
তবে অনেক মানুষের মাছ থেকে অ্যালার্জি থেকে থাকে। তবে সেক্ষেত্রে এই মাছ খেয়ে যদি কোনও শারীরিক সমস্যা মনে হয় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
Sarthak Pandit





