আরও পড়ুনঃ চিকিৎসক দেবী শেঠির বড় ঘোষণা, ২ বছরের মধ্যে রাজ্যে নতুন হাসপাতাল
আপেল কুল চাষি রাসবিহারী বিশ্বাস জানান, “এই আপেল কুল চাষ করতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না। এছাড়া একবার চাষ করে গাছ লাগিয়ে দিলেই হয়। তারপর সেই গাছ থেকে ৬-৭ বছর পর্যন্ত ভাল ফলন পাওয়া যায়। তাই যে কোন কৃষক স্বল্প ব্যয়ে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত আর্থিক মুনাফার মুখ দেখতে পারবেন। এই চাষের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মাবলী মেনে চললেই আয় একেবারে সুনিশ্চিত। আপেল কুল চাষাবাদের ক্ষেত্রে বিশেষ কোন সমস্যা নেই। তবে এক ধরনের পোকার আক্রমণ হয় এই গেছে। তখন গাছের পাতা কালো হয়ে কুঁকড়ে যায়। সঠিক সময়ে সঠিক ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া খুব সহজেই সম্ভব। ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যেই এই রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় হয়। তাই ওষুধ প্রয়োগ মাসে ২ থেকে ৩ বার করা উচিত।”
advertisement
তিনি আরোও জানান, ‘এই কুলটি কাঁচা অবস্থাতেও বেশ ভালই মিষ্টি হয়ে থাকে। সেই কারণে এই কুলটি খেতে বেশিরভাগ মানুষ পছন্দ করে থাকেন। কোচবিহার জেলায় এই কুলের চাষাবাদ খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না। তবে এই ফলের চাহিদা বাজারে রয়েছে প্রচুর। তাই ভালো লাভ পেতে হলে এই চাষ করতে পারবেন কোচবিহারের যেকোন কৃষক।” প্রথম অবস্থায় এই কুল চাষি কৃষি দফতরের সহায়তায় এই চাষাবাদ শুরু করেছিলেন। তাই যেকোন কৃষক এই চাষ শুরু করার আগে কোচবিহারের কৃষি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তবে অনেক ধরনের সুবিধা পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
Sarthak Pandit