আরও পড়ুনঃ শীতের শুরুতেই ইমিউনিটি বুস্ট করতে খান এই ঝোলটি,আর সর্দি-কাশিকে বলুন বাইবাই
শুনতে অনেকটা অবাক লাগলেও এটাই সত্যি কারণ শহরের বুকে আজও বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ব্রিটিশ আমলের ১০০ বছরেরও বেশি পুরনো ঐতিহ্যের ছোঁয়ায় ভরপুর দাস স্টুডিও। ১৯২৭ সালে এই দাস স্টুডিও সূচনা করেছিলেন ঠাকুর দাস প্রধান। তিনি একজন বিখ্যাত ফটোগ্রাফার ছিলেন। ১৯৫০ সালে স্টুডিওটি দার্জিলিংয়ের মাউন্ট প্লিসান্ট রোডে অবস্থিত ছিল তবে বর্তমানে জায়গা পরিবর্তন হয়ে দার্জিলিংয়ের নেহেরু রোডে রয়েছে এই স্টুডিও। দার্জিলিংয়ের চৌরাস্তা অর্থাৎ মল রোডে যাওয়ার পথে সকলেরই একবার হলেও চোখ যায় এই গাছ স্টুডিওর দিকে। দেওয়াল জুড়ে এক টুকরো পুরনো ইতিহাসে ভরা দার্জিলিং। দাস স্টুডিও বিখ্যাত পৃথিবীর সবথেকে উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গের ছবি তোলার জন্য। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে বর্তমানে এসেছে ডিজিটাল ফটো। এই প্রসঙ্গে বর্তমানে দাস স্টুডিওর কর্ণধার মোহন দাস প্রধান বলেন ব্যবসার জন্য ১৯২৭ সালে ঠাকুরদাস প্রধান এই স্টুডিওটির সূচনা করেছিলেন তারপর থেকেই বংশ পরম্পরাগত ভাবে এই ব্যবসা চলে আসছে। আজও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন এবং তারা সেই পুরনো দাস স্টুডিওর তোলা ছবি দেখান। বর্তমানে প্রচুর ভিজিটর এখানে আসেন এবং সমস্ত বিষয়টি তারা দারুণভাবে উপভোগ করেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শীতের ‘বেস্ট ফ্রেড’! খেজুরের গুড়ের গুণের তালিকা শেষ হবে না! রোজ জাস্ট এইভাবে খান!
এই স্টুডিওর ভেতরে আসলেই মনে হবে সেই ১০০ বছর পুরনো দার্জিলিং শহরে ফিরে গিয়েছেন আপনি। আপনি যদি শীতের মরশুমে দার্জিলিং ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে থাকেন তাহলে অবশ্যই ঘুরে যান দার্জিলিংয়ের নেহেরু রোডে অবস্থিত এই দাস স্টুডিও থেকে। শৈল শহরের বহু পুরনো ইতিহাসের সাক্ষী দাস স্টুডিও আপনার মনকে মুগ্ধ করবে।
সুজয় ঘোষ





